আপনজন ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধোত্তর কৌশল না থাকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবারো ইসরায়েলকে দৃঢ়ভাবে সতর্ক করেছে। যুদ্ধ শেষ হলে কীভাবে এই অঞ্চলটি শাসিত ও স্থিতিশীল হবে সে সম্পর্কেও খোলা প্রশ্ন রেখেছে দেশটি। বুধবার মলদোভানের রাজধানী চিসিনাউতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হলে পরের দিন কী হবে সেই পরিকল্পনা ছাড়া গাজা যুদ্ধে জিততে পারবে না ইসরায়েল। হামাসের পরাজয় নিশ্চিত করতে এবং গাজায় নিরাপত্তা ও শাসনব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করার জন্য ইসরায়েলের একটি পরিকল্পনা তৈরি করা ‘অবশ্যক’। তিনি আরো বলেন, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় ‘প্রকৃত সাফল্য’ অর্জন করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, গাজার ভবিষ্যতের বিষয়ে ইসরায়েলের সরাসরি ভূমিকা থাকা উচিত নয়। ব্লিংকেন বলেন, যদি তেমন কিছু হয়, তাহলে আমরা ভবিষ্যতে সেখানে দীর্ঘস্থায়ী বিদ্রোহ দেখতে পাবো। ব্লিংকেন আরো বলেন, যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা না থাকলে হামাসের হাতেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হবে, যা অগ্রহণযোগ্য। অথবা যদি সেটি নাও হয়, তাহলে আমরা সেখানে বিশৃঙ্খলা, অনাচার দেখতে পাবো এবং সেখানে একটি ক্ষমতা-শূন্যতা সৃষ্টি হবে যা শেষ পর্যন্ত হামাস গোষ্ঠীর মাধ্যমেই আবার পূর্ণ হবে বা হয়তো এমন কিছু - যদি কল্পনাও করা হয় - যা আরো খারাপ। মার্কিন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যেই ইসরায়েলকে তথাকথিত যুদ্ধ শেষে হওয়ার ‘পরবর্তী দিনের পরিকল্পনার’ জন্য চাপ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, যুদ্ধের পর ‘সংস্কারকৃত’ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) মাধ্যমেই গাজার শাসন থাকা উচিত। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন। তিনি বলেন, গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে নয় বরং গাজা এবং পশ্চিম তীর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে হবে। এজন্য তারা হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct