আপনজন ডেস্ক: নানা দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্য আরামদায়ক হজ উপহার দিতে চায় সৌদি সরকার। এ লক্ষে এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আরামদায়ক হজ নিশ্চিতে হাজিদের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার একটি রূপরেখাও প্রকাশ হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে আরব নিউজ।আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন জাতীয়তার হজযাত্রীদের মসজিদে নববীতে আসার পর তাদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মসজিদে নববী কর্তৃপক্ষ হজ পালন করতে যাওয়া মুসল্লিদের ব্যাপক মাত্রায় যত্ন-আত্তি নিশ্চিত করবে। এবছর ২৪ ঘণ্টাই জমজমের ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা থাকবে হাজিদের জন্য। জমজম ওয়াটার ডিপার্টমেন্ট এই ব্যবস্থাপনা করবে বলে জানা গেছে। জমজমের উৎস মক্কা থেকে মসজিদে নববীতে প্রতিদিন ৩০০ টন পবিত্র পানি পরিবহন করা হবে। এসব পানি পরীক্ষাগারে কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে যায় এবং মসজিদজুড়ে রাখা কয়েক হাজার কুলার যন্ত্রের মাধ্যমে মুসল্লিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।এছাড়াও দুই লাখ ২৮ হাজার মুসল্লির জন্য ছায়া এবং সুরক্ষার অংশ হিসেবে মসজিদে নববীর প্রাঙ্গণে ২৫০টি বেশি সূর্যের তাপরোধক ধাতব নির্মিত ছাউনি স্থাপন করা হয়েছে। ১৫ মিটার উঁচু এবং এমন প্রতিটি ছাউনির ওজন ৪০ টন। এসব ছাউনিতে দৃষ্টিনন্দন স্বর্ণখচিত ও তামার নকশা থাকবে। এগুলোর মধ্যে পানি-নিষ্কাশন ব্যবস্থাও থাকবে।অন্যদিকে, তীব্র তাপ মোকাবিলা করার জন্য ৪৩৬টি মিস্ট-ফ্যান স্থাপন করা হয়েছে। কুয়াশার মতো পানির সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস মিশিয়ে হজযাত্রীদের জন্য এক ধরনের শীতল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। দুটি পবিত্র মসজিদের মেঝে এবং এর আঙিনা বিশেষভাবে আমদানি করা বিরল ধরনের সাদা মার্বেল দিয়ে মোড়ানো। যা সূর্যের তাপকে শোষণ করে আর্দ্রতা ধরে রাখে শীতল থাকতে সহায়তা করে। এতে মুসল্লিরা খালি পায়ে স্বস্তির সঙ্গে হাঁটতে পারবেন।এছাড়াও মার্বেল পাথরগুলো সযত্নে কিবলামুখী করে স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি এগুলোর সম্প্রসারণের কাজের সময় সাবধানে রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরায় ইনস্টল করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct