তানজিমা পারভিন, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার একমাত্র ডিগ্রী কলেজের নিজস্ব কোন রাস্তা নেই।অন্যের জমির উপর দিয়ে কলেজে ঢুকতে হয় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের।যদিও বছর দেড়েক আগে সরকারি জমিতে ১০০ দিনের টাকায় কলেজের রাস্তার জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছিল।কিন্তু এই ১০০ দিনের প্রকল্প কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ায় থমকে গিয়েছে ব্রিজ নির্মাণের কাজ। অর্ধ সমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে ব্রিজটি।তাই কলেজের নিজস্ব রাস্তা কবে হবে এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু ছাত্র ছাত্রীদের মনে।এ প্রসঙ্গে কলেজের প্রিন্সিপাল সুমিত নন্দী বলেন,’নারেগা প্রকল্পের অধীনে এই ব্রিজ তৈরি হচ্ছিল।টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে অর্ধ সমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে ব্রিজটি।আমি এই বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি।’ ২০০৮ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।বর্তমানে দেড় হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ।হরিশ্চন্দ্রপুর সহ পার্শ্ববর্তী চাঁচল,সামসী ও রতুয়া প্রভৃতি এলাকা থেকেও প্রচুর ছাত্র ছাত্রী প্রতিদিন এই কলেজে পড়াশোনা করতে আসেন। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই কলেজে নিজস্ব রাস্তা না থাকায় পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে থাকা রাস্তার উপর দিয়েই কলেজে প্রবেশ করেন তাঁরা।এই নিয়ে প্রচুর অসুবিধা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের।বর্ষার সময় জমিতে জল জমে কাদা হয়ে যায়।বাইক ও সাইকেল নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এর বিডিও সৌমেন মন্ডল বলেন,’১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এই ব্রিজ নির্মাণের কাজও থমকে গিয়েছে।এর জন্য কোন নির্দিষ্ট বরাদ্দ ছিল না।’হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট প্রেসিডেন্ট অসিম আক্রাম বলেন,’রাস্তার দাবিতে আমরা একাধিকবার আন্দোলন দেখিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি।’কলেজ পড়ুয়া পুতুল সাহানি,সাকিম হোসেন ও বিদিশা সাহা রায় বলেন,‘কলেজের নিজস্ব রাস্তা না থাকার কারণে অন্যের ব্যক্তিগত রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তবে রাস্তায় বড় বড় ইট ও পাথর থাকায় সাইকেল নিয়ে যেতে সমস্যা হয়।’রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন,’ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ২ কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজে দ্বিতল ভবনের কাজ শুরু হয়েছে।সেই টাকা থেকে রাস্তা ভরাট করে কংক্রিটের ঢালাই করা হবে। তবে ব্রিজটির বিষয়টি জেলা শাসককে জানিয়েছি।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct