নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা, আপনজন: প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মিনি কালভেট সহ ১৮০ মিটার ঢালাই রাস্তার কাজের পরিদর্শন করলেন বিধায়ক চন্দনা সরকার। এই কাজটি বিরোধীরা ষড়যন্ত্র ভুয়া খবর করে দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছিল। বিধায়কের প্রচেষ্টায় মঙ্গলবার গ্রামবাসীরা মিলে আবার কাজ শুরু করেন।কালিয়াচক তিন ব্লকের বাখরাবাদ অঞ্চলের ক্যাম্পপাড়া থেকে মজিবুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত এই প্রকল্পটির জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদ দপ্তর থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। ওই এলাকায় একদিকে রয়েছে স্কুল, বাজার সহ প্রয়োজনীয় দোকানপাট। জল বেশি জমে গেলে নৌকার মাধ্যমে পারাপার হতে হয় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অসুস্থ রোগী থেকে প্রসুতি মহিলা সহ লোকজনকে। অনেক সময় এই পারাপারে নৌকা বা ছোট ডেঙ্গি ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অবশেষে বিধায়ক চন্দনা সরকারের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে এই রাস্তার কাজটি সম্পন্ন হতে চলেছে। রাস্তায় সাত থেকে নয় ফুট মাটি ভরাটের সঙ্গে সঙ্গে চলছে পাথরের বোল্ডার দিয়ে পাড় বাধাইয়ের কাজ। পাশাপাশি মাঝখানে তৈরি হয়েছে হিম টাইপের কালভেট। নতুন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইউসুফ আলী জানান, এই রাস্তার জন্য দীর্ঘদিন থেকে ওই পাশের লোক আমরা প্রচুর অসুবিধা ভোগ করে আসছি। এইখানে অনেক বছর আমি নিজে নৌকায় পারাপার করেছি। উল্টোদিকে হাই স্কুল হাওয়াই অনেক সময় নৌকায় বেশি ছাত্র-ছাত্রী উঠে গেলে নৌকা ডুবেও গিয়েছে। এই রাস্তার কাজ হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী অনেক আনন্দিত।
এলাকার আর এক বসিন্দা আশরাফুল হক বলেন, আমার দেখায় গোটা ব্লকের মধ্যে এই কাজটি হচ্ছে সব চাইতে ভালো কাজ। এরকম পাকাপোক্ত কাজ আমাদের ব্লকের মধ্যে আর কোথাও হয়নি। এখন সাত থেকে নয় ফিট মাটি পড়েছে, পাশে পাথর দিয়ে গার্ড ওয়াল করা হচ্ছে। আমরা যা শুনতে পাচ্ছি এর উপরে আরো প্রায় দু ফুট মাটি পড়বে তারপর রাস্তার ঢালাই হবে। যে ভাবে কাজ চলছে আমরা এলাকাবাসী হিসাবে খুশি। কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এলাকার বিধায়ক চন্দনা সরকার বলেন, এলাকায় বসবাসকার জনসাধারণ প্রতিবছর বর্ষার সময় প্রচুর অসুবিধায় পড়তো। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া, হাট বাজার থেকে অফিস আদালতে যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল নৌকা বা ছোট ডিঙিতে পারাপার হতে হত। তারপর সবাই আমাকে বললে আমি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে এই রাস্তার কাজটি সম্পূর্ণ করাচ্ছি। এই বলার সঙ্গে সঙ্গে বিগত কয়েকদিন আগে প্রকাশিত খবরের কাগজে প্রকাশিত রাস্তার কাজের মিথ্যা খবর নিয়ে বিধায়ক খুব উগরে দেন বিধায়ক। তিনি বলেন রাজ্য সরকার ও আমাকে একমাত্র বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করে অন্য একটি পথশ্রী ৩ কাজ শুরু হওয়ার আগেকার ছবি দিয়ে খবরটি করা হয়েছে। এমনকি উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে আমাকে না জেনে আমার মিথ্যা বক্তব্য তুলে ধরা হয়। এর পরিপেক্ষিতে আইনের মাধ্যমে সেই রিপোর্টারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct