এম মেহেদী সানি, অশোকনগর, আপনজন: বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে অশোকনগরের বাশপুল থেকে নুরপুর বাজার পর্যন্ত অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে রোড-শো’র মাধ্যমে ভোট প্রচার করেন অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনার সভাধিপতি তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী । কর্মসূচি শেষে শ্রীকৃষ্ণপুর বাজারে পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি । পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অশোকনগরে মোদির জনসভা প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেন । নারায়ণের দাবি ‘সারা রাজ্যে বিভিন্ন জেলার থেকে লোকজন এনেছেন বিজেপি । উনাদের (বিজেপির) কাছে কোটি কোটি টাকা আছে । লোকের মজুরির দাম দিয়ে নিয়ে আসতে পারেন ।’ ১লা জুন সপ্তম তথা শেষ পর্যায়ে নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে অশোকনগরের হরিপুর কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যেটাকে ভালো চোখে দেখছেন না ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদির বক্তব্য শুনেছেন বলে দাবি করে বলেন, ‘উনি (নরেন্দ্র মোদি) উন্নয়নের কথা নির্দিষ্ট করে বলতে পারলেন? নির্দিষ্ট করে তো কিছুই বলতে পারলেন না, আমি তো সোশ্যাল মিডিয়াই উনার বক্তব্য শুনলাম ।’ তিনি আরও বলেন, ‘অশোকনগরের মিটিংয়ে দেখলাম কাথি লাইনের বাস আছে, দত্তফুলিয়ার বাস এনেছে, বনগাঁ ব্যারাকপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে, বাইরে থেকে বাস এনেছেন ।’
হরিপুর কলেজ মাঠের লোক ধারন ক্ষমতার হিসেব দিয়ে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘ভোটের কাজে ডিএম সাহেব ডিসিআরসির জন্য অর্ধেক মাঠ ঘিরে ফেলেছেন, বাকি অর্ধেক জায়গায় ৬০০০ চেয়ারের ধরবে । বসেই সভা হয়েছে, বাদবাকি রাস্তায় বিক্ষিপ্ত কিছু লোক ছিল, সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার থেকে লোকজন এনেছেন । উনাদের (বিজেপির) কাছে কোটি কোটি টাকা আছে । লোকের মজুরির দাম দিয়ে নিয়ে আসতে পারেন ।’ তৃণমূল সন্দেশখালির মা-বোনেদের অসম্মান করেছে বলে দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদি । অন্যদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে ও সুর চড়ান নারায়ণ গোস্বামী । তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালি তে কি হয়েছিল মোদিজীর থেকেও ভালো জানবেন গঙ্গাধর তিলক যিনি সন্দেশখালি-২ এর মন্ডল সভাপতি। আজকে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলতে বাধ্য হচ্ছেন যে আমি ২০০০ টাকায় বিক্রি হয়নি আসলে ২০০০ টাকার গল্প কে বলেছিলেন? বলেছিলেন সন্দেশখালি ২ এর মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর তিলক, তিনি বলেছেন গণধর্ষণ হয়নি, রাজ্যের এক বিশেষ নেতার কথায় করা হয়েছে। ভোটটা যাক, গণনাটা হয়ে যাক । তারপর দেখবেন কোথার জল কোথায় যাচ্ছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় বলেও হুশিয়ারি দেন নারায়ণ । নরেন্দ্র মোদির ধর্মীয় প্রসঙ্গ টেনে বক্তব্যের বিরোধিতা করে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কো থেকে হেরিটেজ স্বীকৃতি পেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেস কখনো দেবী দুর্গার ছবি নিয়ে ভোটের রাজনীতি করে না কিন্তু ওনারা (বিজেপিরা) রামচন্দ্রকে ছাড়বেন না । এই ধর্মীয় ইস্যু, বস্তাপচা ইস্যু, মানুষ বুঝেছে এই একবিংশ শতাব্দীতে মানুষ যখন তাদের দক্ষিণ মেরুতে যাচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে আর ধর্মের কথা চলবে না বলেও মন্তব্য করেন নারায়ণ গোস্বামী ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct