তানজিমা পারভিন, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: দীর্ঘ আট বছর ধরে জাতীয় সড়কের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই তলা বিল্ডিং। নিত্য দিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বিল্ডিং টি ভাঙ্গার জন্য একাধিকবার মাপজোক করে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ক্ষোভ এলাকায়। চাঁচল গামী ৩১ নং জাতীয় সড়কের উপরে(পুরনো ৮১ নং জাতীয় সড়ক)তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাড়িয়াল গ্রামের নিকটে এই দুই তলা বিল্ডিং টি রয়েছে। ২০১৬-১৭ সালে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সড়কের দুই ধারে জমি অধিগ্রহণ করেন। সেই সময় ওই বিল্ডিং এর জায়গাটি অধিগ্রহণ করতে ছুটে যায় বলে জানান মালদহ ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দিগন্ত কুন্ডু। বিল্ডিং মালিক আরব আলি বলেন,’আমি মালদহ ভূমি অধিগ্রহণ বিভাগ,জেলা শাসক ও সমহর্তার করণে একাধিকবার গিয়ে জমিটি অধিগ্রহণ করার জন্য আবেদন করেছি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জমিটি অধিগ্রহণ করার জন্য আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত অধিগ্রহণ করেননি। কোনো নোটিশ দেইনি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য এত বছর ধরে বিল্ডিংটি রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং নিত্য দিন দুর্ঘটনা ঘটছে। বিল্ডিংটি তে গাড়ির ধাক্কা লেগে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই বিল্ডিংটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। ’স্থানীয় বাসিন্দা,সানজুল আলম ও আলতাব আলিরা বলেন,’এই বিল্ডিংটির জন্য প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। রাতের অন্ধকারে বাইক চালকেরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি বিল্ডিং এ ধাক্কা মেরে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ’গাড়ি চালক মহম্মদ নুরুদ্দিন বলেন,’জাতীয় সড়কে কার্যত প্রাণ হাতে চালচল করতে হচ্ছে। এই বিল্ডিং টি চৌ-রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে গেছে। একপাশের গাড়ি চালক অন্য পাশের গাড়ি দেখতে পাচ্ছে না। ফলে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটছে। অপরদিকে এই বিল্ডিং এর কাছে বিশাল আকারে গর্ত থাকার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা আরো বাড়ছে।’ যা এই অংশের পথ-নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অনেকেই এর জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ‘উদাসীনতাকে’ দায়ী করেছেন। মালদহ ডিভিশন জাতীয় সড়কের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দিগন্ত কুন্ডু বলেন,’ওই জমিটি অধিগ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। ভোটের ফলাফলের পরেই জমিটি অধিগ্রহণ করে জাতীয় সড়কের কাজটি করা হবে। ’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct