হাসান লস্কর, কুলতলি, আপনজন: আইলা ইয়াশ বুলবুল ফণির মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায়। আর তারই ক্ষত এখনো পর্যন্ত সারিয়ে তুলতে পারেনি সুন্দরবনবাসী। এই মুহূর্তে রেমেল নামের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবে সুন্দরবনের একাধিক এলাকা- কুলতলীর বিস্তীর্ণ নদী বাঁধ প্লাবিত হতেই বসেছে। আর তারই আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় ও স্থানীয় কুলতলী ও মৈপিঠ কোস্টাল থানার আধিকারিকদের প্রচেষ্টায় এই মুহূর্তে যে সমস্ত পরিবার মাটির বাড়িতে আছে, তাদেরকে নিয়ে আসছে বহুমুখী আশ্রয়স্থল কেন্দ্রে। কুলতলীর কাঁটামারি চুড়ামণি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বহুমুখী আশ্রয়স্থল কেন্দ্র, গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী অঞ্চলের ফ্লাট সেন্টার ও মৈপিঠ বৈকুণ্ঠপুর বহুমুখী আশ্রয়স্থল কেন্দ্র গুলিতে একে একে নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী পরিবার গুলিকে নিয়ে আসছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আর এই সমস্ত বহুমুখী আশ্রয়স্থল কেন্দ্রগুলিতেএলাকাবাসীদের ভিড় । সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের করণ থেকে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত গুলো কে ত্রিপল চিড়ে গুড় বিস্কিট ও শুকনো খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুলতলি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সুচন্দন বৈদ্যের কথায় ২৪ ঘন্টা কন্ট্রোল রুম খুলে রাখা হয়েছে। ঝড়ের পরবর্তী সময়ে রাস্তাঘাট স্বাভাবিকভাবে যাতে যান চলাচল করতে পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা ও জানান তিনি। অনেক পরিবার এখানো ও মাটির ঘরে থেকে বাড়ির খুঁটি আঁকড়ে ধরে চোখের জল মুছেছে কিন্তু বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় স্থলে আসতে চাচ্ছে না তারা। বাড়িতে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মোহ ও গবাদি পশুর কথা চিন্তা ভাবনা করে।
প্রতি বছরে সুন্দরবনে এমনি ভাবে নেমে আসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বিধাতার রসানলে সুন্দরবাসি বারে বারে তাদের এমনই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct