আসিফা লস্কর, মগরাহাট, আপনজন: ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে হাইকোর্টের রায় ‘মেনে নেব না’ বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ১৫ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে যাবে রাজ্য। এবার, ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের রায় নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতিদের ‘একাংশ’কে কাজে লাগিয়ে বিজেপি এই ‘চক্রান্ত’ করেছে বলে দাবি করলেন তিনি।জয়নগরের একটি সভা থেকে শুক্রবার অভিষেক বলেন, ‘বিচারব্যবস্থার একাংশকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘু, তফসিলি ভাই-বোনদের ওবিসির স্বীকৃতি কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। আমাদের সরকার যতদিন আছে, ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নিতে দেব না। আপনারা সকলে নিশ্চিন্তে থাকুন।’ এই প্রসঙ্গে এসএসসির ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। এর আগে হাইকোর্টের এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি রায়ের মাধ্যমে ২০১৬ সালের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। সেই রায়ের উপর অর্থাৎ চাকরি বাতিলের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিষেক সেই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, ‘এঁরা প্রকৃত মেধাযুক্ত তাঁদেরও চাকরি খেয়েছিল হাইকোর্টের একাংশকে কাজে লাগিয়ে। আমরা বলেছিলাম, কারও চাকরি খেতে দেব না। আমরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি, এঁদের দু’গালে দুটো কষিয়ে থাপ্পড় মেরে বলেছে, কারও চাকরি খাওয়া যাবে না।’ ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়েও যাঁদের সেটি বাতিল হয়েছে, চিন্তা করার কোনও কারণ নেই, সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এই সমস্যার সুরাহা হবে বলে এদিন আশ্বস্ত করেন তিনি।অভিষেক এদিনের বক্তৃতায় দাবি করেন, ওবিসি বা তফসিলি তালিকাভুক্তদের উপর সবথেকে বেশি অত্যাচার হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। অভিষেক জানান, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি ওবিসিদের উপর অত্যাচার হয়। তাঁর কথায়, ভারতের সোশ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড জাস্টিস দফতর রাজ্যসভায় পেশ করেছিল এই তথ্য। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সবথেকে বেশি যে রাজ্যগুলিতে ওবিসিদের উপর অত্যাচার হয়, সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান। তালিকার শীর্ষে থাকা বেশিরভাগ রাজ্যই বিজেপি শাসিত বলে দাবি করেন অভিষেক। তিনি যদি ভুল তথ্য পেশ করেন থাকেন, তাহলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। প্রসঙ্গত, জয়নগর কেন্দ্রে আগামী সপ্তম অর্থাৎ শেষ দফায় ভোট রয়েছে।বোনেদের বঞ্চিত হতে দেব না। উপস্থিত ছিলেন মগরাহাট পূর্বের বিধায়িকা নমিতা সাহা জয়নগরের বিধায়ক জয়দেব হালদার, আই এন টি টি ইউ সির সম্পাদক শক্তিপদ মন্ডল, সভাপতি রুনা ইয়াসমিন, মগরাহাটের ব্লক সভাপতি সেলিম লস্কর , যুব নেতা বাচ্চু শেখ প্রমুখ।
ছবি: ওয়ারিশ লস্কর
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct