নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা, আপনজন: দীর্ঘ আন্দোলের পর এলাকার মানুষ পেতে চলেছে আন্ডারপাশ। ইতিমধ্যে আন্ডারপাশের কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাজের সূচনা হলেও শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে জোর কদমে কাজ। খুশি কালিয়াচক-৩ ব্লকের বীরনগর শিমুলতলা, লক্ষীপুর সহ এলাকার মানুষ। কলকাতা উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলাও করেন আন্দোলনকারীরা। উচ্চ আদালতে রায় হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষে। তারপরও দীর্ঘ দিন লেগে যায়। অবশেষে কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চামাগ্রাম স্টেশন থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে এখানে রেল লাইনের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হত এলাকার মানুষকে। সাইকেল মোটরসাইকেল থেকে বিভিন্ন ভ্যান রিক্সা রেল লাইনের উপরে দিয়ে বেশি শক্তি ভর করে পার করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই রেল লাইনের ওপর দিয়ে বীরনগর, লক্ষীপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ চলাচল করতে হত। কোনও বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন পারাপার করে যাতায়াত করতে হত। এখান থেকে মূল সদরে যেতে ঘুপথে প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা বেশি যেতে হয়। এবার সরাসরি সময় বাচবে এবং খরচ কমবে।এই রেললাইনের অদূরেই রয়েছে একাধিক স্কুল, বাজার থেকে শুরু করে সাউথ মালদা কলেজ। অটো, টোটো থেকে শুরু করে অন্যান্য যানবাহনের সংক্ষিপ্ত পথ এই রেললাইন হয়ে যাওয়া। দীর্ঘ আন্দোলন এবং সংগ্রাম করে মানুষের দাবি আদায় হয়েছে। এই আন্ডারপাশের দাবি নিয়ে এলাকার মানুষকে হাইকোর্ট এমনকী সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একসময় জোরাল হয়ে ওঠে আন্ডারপাশ নির্মাণের দাবি। লক্ষীপুর বীরনগর নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির ব্যানারে আন্দোলন করে এলাকার মানুষ। পুরোভাগে নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষক জিয়াউল হক। এই আন্দোলনে এক সময় রেল কর্তৃপক্ষ রেলের নিয়ম এবং একাধিক কারণ ও যুক্তি দেখিয়ে রেল লাইন পারাপারে বন্ধ করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct