চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্যানিং, আপনজন: জমে উঠেছে রাজনৈতিক দলের ভোটের প্রচার। প্রচারের আর কয়েকদিন বাকি। আর শুক্রবার প্রাকৃতিক দূর্যোগকে উপেক্ষা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিন ২৪ পরগনায় তিনটি জনসভা করলেন। এদিন সাগর, রায়দীঘিতে সভা করে ক্যানিং এর স্টেডিয়ামের মাঠে জয়নগর লোকসভার তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রতিমা মন্ডলকে পাশে নিয়ে জনসভা করলেন। ভোটের মাঝে বারবার বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ভোটের ঠিক আগের দিন ঘাটালের দাসপুরের বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার ২৪ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যানিং এর নির্বাচনী প্রচারমঞ্চ থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তোপ দাগলেন। শুক্রবার তিনি বলেন, আমি পুলিশ-প্রশাসনকে বলব নাকা চেকিং করতে। নির্বাচনের জায়গাগুলোতে গাড়িতে করে লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকা ঢোকাচ্ছে বিজেপি। আমি প্রশাসনকে বারবার বলব নাকা চেকিং করতে। এদিনের মঞ্চ থেকে বিজেপিকেও একহাত নেন মমতা। গেরুয়া শিবির ‘হারাতঙ্ক রোগে’ ভুগছে বলেই দাবি তাঁর। মমতার কথায়, “কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক হয়। আর এখানে বিজেপি হারাতঙ্ক রোগে ভুগছে। শুনুন সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবার যদি মোদি ক্ষমতায় আসে, তবে আর কোনও নির্বাচন হবে না। দেশটাকে বিক্রি করে দেবে। যত শীঘ্র বিজেপি সরকারকে সরানো যায়, ততই মঙ্গল। ” এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম সভা করে সাগর বিধানসভার সাগর কালী নগরের মাঠে। মথুরাপুরের তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপি হালদারকে সামনে রেখে এদিন মমতা সাগরে তৃনমূল উন্নয়নের কাজ, সাগর নিয়ে তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরলেন। তিনি এদিন বলেন, সাগরে বিদ্যুত এনেছি আমরা। আগামী দিনে মুড়িগঙ্গার উপর সেতু ও করে দোবো। আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। এর পরে এদিন রায়দীঘি বিধানসভার রায়দীঘি স্টেডিয়ামে বাপি হালদারের সমর্থনে আরও একটি সভায় যোগ দিয়ে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের তুলোধনা করেন।
তিনি এদিন রায়দীঘির জনসভায় বলেন,বিজেপি গাড়ি গাড়ি টাকা এনে ছড়িয়ে ভোট কিনতে চাইছে। মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে। ১০০ দিনের টাকা ওরা দিল না। গরিব মানুষের ৬৯ লক্ষ টাকা মেরে দিয়ে সেই টাকা দিয়ে ভোট কিনছে এখন আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আমরা ২০২১ সালের বিধানসভার আগে লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কথা রেখেছি। সিপিএম ৩৪ বছরে রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েগেছে। আমরা আসার পর এই জেলায় কত কাজ হয়েছে। হাসপাতাল, সেতু, কলেজ সহ আরো অনেক কিছু। কৃষকরা বছরে ১০ হাজার টাকা করে পাচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী ,শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথী সাইকেল,স্মার্ট কার্ড সহ একাধিক কাজ করে দিয়েছি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে যাবে বিনামূল্য। বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছি। যা যা প্রয়োজন সব দিয়েছি। তাই বিজেপি, কংগ্রেস, বিজেপির দালালদের একটাও ভোট নয়। গত ২-৩ বছর ধরে এই কেন্দ্রের সাংসদ জাটুয়া সাহেব খুব অসুস্থ থাকায় এই এলাকায় উন্নয়নে কিছু টা অসুবিধা হয়েছে। তাই তো কম বয়সী কাজের ছেলে বাপি হালদারকে এবার প্রার্থী করা হয়েছে। ওকে জিতিয়ে আনুন, আমি এলাকায় উন্নয়নে ভাসিয়ে দোবো। বিজেপি আদালতের মাধ্যমে ওবিসি বাতিল করেছে। আমি ওই রায় মানি না। ওরা বলছে এবার ৪০০ পাবে। আমি বলছি ওরা ২০০ও পাবে না। ওরা ওনলি ৪২০।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct