নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সুফি সাধক, উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত এবং মেদিনীপুর খানকাহ শরীফের পীর সাহেব আমিরুল মাশায়েখ হজরত প্রফেসর সৈয়দ মানাল শাহ আলকাদেরী কলকাতায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি...)। তিনি ছিলেন পীর হযরত সৈয়েদেনা গাউসুল আজমের ২২তম বংশধর। কাদরি ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামী পন্ডিত, দায়রা শরীফ, কলকাতা ও খানকাহ শরীফ এ কাদেরীয়া ও চিশতিয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের সাজ্জাদানশীন। ভারত ও বিদেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর বিপুল সংখ্যক মুরীদ ও ভক্তগন আছেন। তিনি ছিলেন তাঁর পিতা পরম পবিত্র ওলীয়ে কামেল পশ্চিমবঙ্গের একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক কুতুবে বাঙ্গালা হযরত সৈয়দ শাহ গোলাম মুস্তাফা আলকাদেরী রঃ (সাজ্জাদানশীন দরবার শরীফ কলকাতা ও খানকাহ শরীফ মেদিনীপুর)এর প্রিয় সাহাজাদা ও খালিফা এ বরহক। এছাড়া তিনি তাঁর শ্বশুর পরম শ্রদ্ধেয় হজরত পীর জামিন নিজামী সৈয়দ বোখারী রঃ (সাজ্জাদানশীন দরগাহ হজরত নিজামুদ্দিন আওলিয়া রঃ,দিল্লি) এর খালিফা ছিলেন ও নিজের বোনাই বিহারের পীর সাহেব ( হজরত শায়েখ শরফুদ্দীন এহিয়া মুনেরী রঃ এর বংশধর ) পরম শ্রদ্ধেয় মখদুমজাদা হজরত সৈয়দ ইমাম আহমদ শারাফি রহ. এরও খালিফা ছিলেন। মানাল শাহ মাশায়েখ কাদেরীয়া, চিশতীয়া , ফখরিয়া, সোলেমানিয়া, সোহরাওয়ার্দীয়া, ফিরদৌসিয়া সিলসিলার খেলাফত প্রাপ্ত পীর সাহেব ছিলেন।
মানাল মাহ আল কাদির তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ফারসি বিভাগের প্রধান, কলা বিভাগের ডিন ও স্যার আশুতোষ প্রফেসর আফ ইসলামীক কালচারের পদে দীঘদিন ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি পশ্চিম বঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশন-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালে আরবি ও ফারসিতে তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্য তাঁকে রাষ্ট্রপতির সম্মানে ভূষিত করা হয়। তিনি পশ্চিম বঙ্গ উর্দু অ্যাকাডেমির ভাইস চেয়ারম্যানের পদে দীর্ঘ ৭ বছর কাজ করেন ও অ্যাকাডেমিকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেন । তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি, ইরান সোসাইটি, কলকাতা মুসলিম এতিমখানা, এর মতো বেশ কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct