নিজস্ব প্রতিবেদক, মগরাহাট, আপনজন: দক্ষিণ ২৪ পরগনা মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে সংগ্রামপুর এলাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিতিতে বাপি হালদারের সমর্থনে সভা করেন। আর সেখান থেকেই বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।অভিষেক বলেন, এজেন্সি দিয়ে শুধু তাঁকে নয়, তাঁর স্ত্রী, বাবা, মাকে হেনস্থা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু তিনি মাথা নত করেননি। দিল্লি গিয়ে বাংলার দাবি আদায়ে লড়াই করেছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, দেশের মধ্যে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা উন্নয়নের নিরিখে দেশে মডেল।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর মূল বক্তব্য ছিল তিনি যেভাবে ডায়মন্ড হারবার কে মডেল করার চেষ্টা করেছেন ভারতবর্ষের বুকে সেই ভাবে জয়নগর ,মথুরাপুর , যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রগুলি নিজ হাতে দায়িত্ব নিয়ে মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন। তিনি বলেন কেন্দ্রের হাতে বারে বারে বঞ্চনার শিকার হয়ে এসেছে বাংলা আমরা দিল্লিতে বাংলার খেটে খাওয়া দিনমজুরের কথা তুলে ধরেছিলাম একটা পয়সাও দেয়নি তারা। ইডি সিবিআই লাগিয়ে আমাকে থমকে দিতে পারবে না আমরা মেরুদণ্ড বিক্রি করি না। বাপি জিতলে মথুরাপুর লোকসভার দায়িত্ব আমার।তিনি বলেন, গরিব মানুষের অধিকার খর্ব করার ষড়যন্ত্র চলছে। আগামী সাতদিন তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতেই থাকবেন বলে জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।সভার মধ্যেই বৃষ্টি এসে যায়। নিজের নিরাপত্তার বেষ্টনী সরিয়ে সভায় যাঁরা ভিজছিল তাঁদের সেই বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসেন অভিষেক। বলেন, ভিজবেন না। এখনও সাতদিন আছে। সবাইকে সুস্থ থাকতে হবে। সভামঞ্চে রব ওঠে, অভিষেক ব্যানার্জি জিন্দাবাদ।হেলিকপ্টারে নামার পরে মানুষ উল্লাসে মেতে ওঠে বৃষ্টি ভেজা দুপুর বেলা থেকে অপেক্ষা ছিল প্রায় লাক্ষাদিকের কাছে মানুষ । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেজের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বৃষ্টি ভেজা মহিলা নারী-পুরুষদের উদ্দেশ্যে স্টেজের সামনে আসার আহ্বান করেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, মগরাহাট পূর্বের বিধায়িকা নমিতা সাহা ও পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, কুলপি বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, মন্টু রাম পাখিরাও ছাড়াও তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct