সেলি খাতুন, হাড়োয়া, আপনজন: কৃষক, শ্রমিক, মেহনীতি মানুষের কথা বলবেন জনপ্রতিনিধিরা। আপনাদের কথা, মানুষের কথা সংসদে গিয়ে বলবে এমন এমপি বানান। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হড়োয়ার ৯১ বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনী জনসভায় এসে এমনই আহ্বান করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এদিনের বক্তব্যের শুরুতেই তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিয়ে কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, মানুষজন কী খাবে? ফ্রিজে কী রাখবে? তাঁর কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে। বিজেপির এই বিভাজনের রাজনীতি চলতে পারে না। তাই এই লোকসভা ভোট অত্যন্ত গুরুত্ব বলে তিনি মনে করিয়ে দেন। পাশাপাশি প্রাক্তন সাংসদ নুসরত জাহানকে নিয়ে সরব হলেও বাম, কংগ্রেস নিয়ে একটিও কথা খরচ করেন নি তিনি। পাশপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি নওশাদ। তিনি বলেন, সংসদে সিএএ, তিন তালাক নিয়ে ভোট দেয় নি এই নুসরাত জাহানরা। তাই আপনারা কাকে সাংসদ বানাবেন আপনারা ভেবে দেখুন। আপনাদের কথা, মানুষের কথা যারা বলবে তাঁদেরকে এমপি নির্বাচিত করুন বলে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু, আদিবাসী এলাকায় বিভিন্ন স্কুল বন্ধ করা হচ্ছে বলে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। এই নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছেন না বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। বাম, কংগ্রেস, বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের মধ্যে মারামারির রাজনীতি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘুরা কারুর ভোট ব্যাংক নয়। এসব আর চলবে না। গ্রামে গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল গড়ে তোলার কথা তিনি বলেন। এরজন্য বসিরহাট লোকসভার আইএসএফ প্রার্থী আক্তার রহমান বিশ্বাসকে সংসদে পাঠানোর আহ্বান জানান নওশাদ সিদ্দিকী। এদিন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, সিপিএম নেতা মুহাম্মদ সেলিমকেও নিয়ে সরাসরি সরব হন নওশাদ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct