মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: খণ্ডঘোষের ইমাম সংগঠনের সভাপতি মোল্লা সদরুল আলম কয়েকদিন আগে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মুসলমান সমাজের মানুষদের কাছে এক বার্তা দিয়েছেন । প্রচন্ড তাপদাহে যখন মানুষের জীবন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা । গরমে পূর্ব বর্ধমানের বেশিরভাগ মসজিদ যখন এসির ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে মসজিদের ইমামদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে মসজিদের সিঁড়িতে। যদিও পূর্ব বর্ধমানের অল্প কিছু মসজিদে ইমামদের থাকার ব্যবস্থা ভালো আছে কিন্তু ৯৫% মসজিদে ইমামদের থাকার ব্যবস্থা এতটাই ভয়ঙ্কর যেটা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। সদরুল সাহেব এই গরমে ইমামদের থাকার একটা ভালো ব্যবস্থা করার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। খুবই দুঃখজনক ব্যবস্থা মুসলিম সমাজের আর্থিক উন্নতি হয়েছে কিন্তু মানসিক উন্নতি ঘটেনি। সবচেয়ে কম পয়সায় ইমাম রাখার প্রবণতা মসজিদ কমিটির। অনেক মসজিদ কমিটির কর্মকর্তারা মসজিদ কে নিজের বাপত্তি সম্পত্তি মনে করে ।তাদের আব ভাব যেন নিজের পকেট থেকে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনকে বেতন দিচ্ছেন । ইমাম মুয়াজ্জিনদেরকে একেবারে বাড়ির চাকর বাকরদের মত ব্যবহার করেন ।মসজিদ কেন পরিষ্কার হয়নি, বাথরুম কেন নোংরা ? এই সব হাজারো প্রশ্ন শুনতে হয় ইমামদের। ইমামদের একটা পরিবার থাকে তাদের স্ত্রী সন্তান পরিবার আছে তা অনেকেই ভুলে যান। তাদের ছুটির দিকে সেভাবে নজর দেওয়া দেয়া হয় না। তারা স্বাভাবিকভাবে নামাজ পড়াবেন, ধর্মীয় কাজ করবেন সেটা করতে বাধাপ্রাপ্ত হন । পয়সা দিয়ে ভাল আলেম উলামা মসজিদে রাখলে সেই এলাকার মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হবে ,মানুষ মসজিদ মুখী হব। মসজিদে যারা আজান দেন তাদের বেতন আরো কম । কম পয়সায় ইমাম মুয়াজ্জিন রাখার ফলে তাদের ধর্মীয় জ্ঞান অনেক সময় কম হওয়ার ফলে মুসলমান সমাজ লাভের থেকে ক্ষতির সম্মুখীন বেশি হন।
পূর্ব বর্ধমানের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডক্টর রমজান আলী মুসলমান সমাজকে ভালো পয়সা খরচা করে ইমাম মুয়াজ্জিন রাখার আবেদন জানিয়েছেন। মাদ্রাসা দারুল উলুম এর সম্পাদক তথা সেহারা বাজার রহমানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সম্পাদক হাজী কুতুব উদ্দিন বলেন সময় হয়ে এসেছে মুসলিম সমাজের আলেম উলামা ইমাম দেরকে প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন করা, ইমামদের প্রকৃত বেতন দেওয়া। আর সেটা করা হলে মুসলমান সমাজ আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct