মোহাম্মাদ সানাউল্লা, লোহাপুর, আপনজন: প্রায় দু লক্ষ টাকার সরকারি গাছ উল্টে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল পরিবারের লোকজন। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের আটকুলা গ্রামে। বাড়ির মালিক কুমোরুদ্দিন শেখের অভিযোগ, আজ থেকে দুমাস আগে সজল ধরা প্রকল্পে আমার বাড়ির পাশে ক্যানেলে জলের কাজ করার জন্য জেসিবি মেশিনে মাটি কাটার সময় এই শিশু গাছের শিকড় কেটে যায়। যার ফলে তার বাড়ির দিকে গাছটি বিপদজনক অবস্থায় ঝুঁকে পড়ে। এ ব্যাপারে নলহাটি দুই নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও তিনি তার কোন সুরাহা করেননি বলে অভিযোগ। এদিন সকালে বৃষ্টির সময় দমকা হাওয়ায় গাছটি হঠাৎ করে তার বাড়ির টিনের ছাউনির উপর হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায়।ফলে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান পরিবারে সদস্যরা।বাড়ির টিনের ছাউনির উপর গাছপাড়া বিকট আওয়াজে পাড়ার লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। বর্তমানে গাছটি মাটির বাড়ির উপর বিপদজনক অবস্থায় আটকে পড়ে। খবর শুনে ঘটনাস্থলে আসেন শীতলগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাহিনা খাতুন এবং নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও রজত রঞ্জন দাস। গাছটি বিপজ্জনক অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিডিও গাছ কাটার লোকজন ডাকলে শীতলগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শাহিনা খাতুন গাছ তুলতে বাধা দেন। কারন তাঁর পঞ্চায়েত এলাকার গাছ তিনি সেই গাছটি তার পঞ্চায়েত উন্নয়নের কাজেই লাগাবেন বলে তার দাবি। ফলে পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসের মধ্যে গাছ তোলাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় টানাপোড়ান। ঘটনাস্থলে গ্রামবাসীরা শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতকে গাছ তুলে নেওয়ার পক্ষে বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিডিও রজত রঞ্জন দাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে লোহাপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছান।শেষ পর্যন্ত তিনি শীতলগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে গাছটি উদ্ধার করার জন্য নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে গাছটি নিলামে বিক্রী করে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেন। অবশেষে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসের টানাপোড়নের মীমাংসা হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির উপর গাছ উদ্ধার কাজ শুরু করে শীতলগ্রাম পঞ্চায়েত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct