সুব্রত রায় ও মির আনিসুল, বিধাননগর, আপনজন: বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে একটি প্রাইভেট চারচাকা গাড়ি। গাড়ির নম্বর WB18 AA 5473। উদ্ধার হওয়া গাড়ি থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করছেন। গাড়িতে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রে খবর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গাড়িটিকে শনাক্ত করা হয়। এরপরই গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই গাড়িটিকে আনা হয়েছে নিউ টাউন থানায়। এদিকে, বাংলাদেশের সাংসদ খুনের তদন্তভার সিআইডি নিল। খুনের কথা স্বীকার করেছেন ধৃতরা বলে সূত্রের খবর। বডি পাওয়া যাইনি। ১৩ তারিখ এসেছিলো। ২২তারিখ আজ সকালে জানতে পারে খুনের কথা। তিনজন যে গ্রেপ্তার হয়েছে এই খুনের সঙ্গে কিভাবে তারা যুক্ত তা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ্যে আনছে না পুলিশ।
এদিকে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের সাংসদ ছিলেন সেই ফ্ল্যাটটির মালিক হলেন সন্দীপ রায়। তিনি রাজ্য পুলিশের আবগারি দফতরে কর্মরত। সন্দীপ বাবু তার ফ্ল্যাটটি আকতার জামান নামে এক ব্যক্তিকে ভাড়া দিয়েছিলেন । ওই ব্যক্তি মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা ছিলেন। যে গাড়িটি উদ্ধার হয়েছে সেই গাড়িটি করে বাংলাদেশের সাংসদকে খুন করার পর তার মৃতদেহর বিভিন্ন অংশ নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে বরানগরের সোনার ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসকে। বরানগর মন্ডল পাড়া এলাকায় গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে এসেছিলেন বাংলাদেশের ঝিনুকদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। ১২ মে সন্ধ্যে ৭টার সময় তিনি ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি এসেছিলেন।
এরপরই ১৭ ই মে থেকে নিঁখোজ ওই সাংসদ। তাই গোপাল বিশ্বাসকে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিভাবে খুন হলেন ওই সাংসদ তার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য গেঁদে সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। প্রথমে উঠেছিলেন বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। ২ দিন সেখানে থাকার পর ১৪ তারিখ , ওই বন্ধুর বাড়ি থেকে বেরোন বিশেষ কাজে যাচ্ছেন বলে। আজই ফিরে আসবেন বলে জানান তাকে। তবে তার পর দিনও সাংসদ না ফেরায় গোপাল বিশ্বাস থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের তরফেও তাঁকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর কলকাতায় এসে ভারতের সিম ব্যবহার করছিলেন ওই সাংসদ। ১৪ মে বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ায় সময় কার্যত খালি হাতেই বেরিয়েছিলেন তিনি। গত পাঁচ দিন ধরে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করে। পরে বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ করে তারা। বুধবার সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে গোটা বিষয়টি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct