মোহাম্মাদ সানাউল্লা, লোহাপুর, আপনজন: উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চদশ স্থান দখল করে গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করলো মুস্তাফিজুর রহমান। এখন শুধু পড়াশোনা শহর কেন্দ্রিক নয়। সঠিক ভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে গ্রাম থেকেও যে রত্ন বের হয়। সেটা প্রমাণ করে দেখালো নলহাটি ২ নং ব্লকের ভগলদিঘী গ্রামের মুস্তাফিজুর রহমান। মাধ্যমিকে আশা থাকলেও সে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগই ছিলো তার পছন্দের বিষয়। বিজ্ঞান বিভাগকে ভরসা করেই সে এবার উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮২ নম্বর পেয়েছে। তার এই প্রাপ্ত নম্বরে শুধু গ্রামের বা এলাকার মুখ উজ্জ্বল হল তাই নয়। তার এই প্রাপ্তিতে এলাকার যারা আগামী দিনের ভবিষ্যতের ছাত্র। তারা কিন্তু তাকে আদর্শ হিসাবে সামনে রাখলো। শুধু এই ছেলেটিই নই। তাকে আদর্শ করে যেন এগিয়ে যায় সেই দৃষ্টান্তকেই সামনে তুলে ধরলেন এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজ দর্পণ। সেই সংগঠনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নলহাটি হীরালাল ভকত কলেজে অধ্যক্ষ ড: নূরুল ইসলাম, এলাকার বিশিষ্ট চিকিৎসক আব্দুল করিম, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ সহ এলাকার বিশিষ্ট জনেরা। এই সংবর্ধনা পেয়ে সভাবত লাজুক ছেলেটি আপ্লুত।মুস্তাফিজুর রহামান বলে, পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই। পড়াশোনায় মনযোগী হয়ে পরিশ্রম করতে হবে। ঠিক মতো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সে জানিয়েছে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে তার শৈশব কেটেছে। একই ভাবে গ্রামের উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনার সময় আল আমিন মিশনের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। যার ফলে আল আমিন মিশনের খলতপুর মেন ক্যাম্পাসে টানা চার বছর পড়াশোনা। সেখান থেকে মাধ্যমিকে ৬৬৬ নম্বর পেয়ে ভালো ফলাফল করলেও তার আশানুরূপ ফল হয়নি। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮২ পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় ১৫ নম্বর স্থান দখল করে এলাকায় দৃষ্টান্ত রাখলো মুস্তাফিজুর রহমান। বাবা মোঃ মেরশাদ আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা রেবেকা সুলতানা গৃহ কর্তী। বাবা মায়ের কৃতি সন্তান। এই ছেলেটি কি এখানেই থেমে থাকবে। ভবিষ্যতে সে কি হবে। ছেলেটির ইচ্ছা ভবিষ্যতে ডাক্তারি করে সে শুধু এলাকার নই। মানুষের উপকার করবে। এবং মানুষের মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে বলে সে জানিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct