সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বছর দশেক আগে বৃদ্ধ দম্পতির গলায় ছুরির কোপ বসানোর ঘটনায় অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত ছিল এতদিন। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার মামলার সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা হল অভিযুক্ত সঞ্জয় দত্তকে। সরকারি পক্ষের আইনজীবী গুরুদাস ভট্টাচার্য বলেন, বৃদ্ধ দম্পতি খুনের চেষ্টার মামলার অভিযুক্ত সঞ্জয় দত্তকে শনিবার বিষ্ণুপুর আদালতে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (অ্যাসিস্ট্যান্ট সেশান জাজ ) জ্যোৎস্না রায় তিনটি ধারার যথাক্রমে ৬ বছর, পাঁচ বছর ও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন । সর্বোচ্চ ৬ বছরের সাজা ভোগ করবে অভিযুক্ত। এই ধরনের রায় অভিযুক্তদের ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
ঘটনা সূত্রপাত ২০১৪-র ৭ই জানুয়ারি । অভিযোগ ওই দিন সন্ধ্যায় সোনামুখী সাত নম্বর ওয়ার্ডের চেল মোড়ের বাসিন্দা, নরনাথ চন্দ্রের উপর ছুরি নিয়ে চড়াও হয় সোনামুখীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিখা কার্তিক তলার বাসিন্দা সৃজয়। নরনাথের মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে আনতে চেয়েছিল অভিযুক্ত। তবে সেই সময় মেয়েকে না পেয়ে বাবার গলাতে ছুরির কোপ বসায় সে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন নরনাথের স্ত্রী ভারতী দেবীও। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলে ভর্তি ছিলেন দম্পতি । সেই সময় সোনামুখী থানায় লিখিত অভিযোগ হওয়ার পরে সোনামুখী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সামাদ আনসারীর নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয় এবং অভিযুক্ত সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে সোনামুখী থানার সাব ইন্সপেক্টর সামাদ আনসারী। অভিযুক্ত সৃজয়কে গ্রেফতার করে বিষ্ণুপুর আদালতে ছিল পুলিশ। যদিও জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় অভিযুক্ত। সেই সময় আতঙ্কে ছিলেন নরনাথ ও তার পরিবার। এই দিনের রায়ের পরে বলেন তিনি বলেন, আমরা এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সাজা ভোগ করলে অভিযুক্ত অপরাধ বুঝতে পারবে। কিন্তু যদিও আবার জামিনে মুক্তি হয়ে যায় তাহলে আমাদের মতো অসহায় মানুষেরা তো আতঙ্কে থাকবেই। আমরা চাই দোষী যেন শাস্তি পায়। এদিন অভিযুক্ত নিজে কিছু না বললেও তার আইনজীবী সন্তোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা মক্কেলের জামিনের জন্য আদালতে যা আবেদন করবো।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct