আপনজন ডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ক্ষমতার চূড়ার খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এমনকি পরে খামেনির পর তাকেই উত্তরসূরি মনে করা হচ্ছিল ইরানের। তবে এক নাটকীয় মোড় সব হিসাবনিকাশ পালটে দিয়েছে। আকস্মিক দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এমনকি ইরানের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন জাগছে অনেকের মনে। এরইমধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কাউন্সিল। আগামী ২৮ জুন দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মৃত্যু বা তিনি দায়িত্বপালনে অক্ষম হলে ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে হবে। এর জন্য সংসদের স্পিকার, বিচার বিভাগীয় প্রধান এবং প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টের সমন্বয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হয়।আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ইরানের বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার ছাড়াও সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বাজরপাশ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, আলি আকবর সালেহিসহ গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম শোনা যাচ্ছে।এছাড়া দৌড়ে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মিত্র আলি লারিজানি, রাইসির বড় প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ বাকের কালিবাফের মতো নেতারাও।তবে ইরানের প্রেসিডেন্টের মসনদে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ মোহাম্মদ মোখবার ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানির ক্ষমতায় বসার জোর সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।প্রতিযোগিতার তালিকায় পিছিয়ে নেই ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সাবেক প্রধান আলি শামখানি। গত বছর চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনস্থাপনে যিনি সবার নজর কেড়েছিলেন।এদিকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ৫৫ বছর বয়সি ছেলে মুজতবার নামও বলছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে বিপ্লব শাহের বংশগত পাহলভি রাজতন্ত্র উৎখাতের পর থেকে পরিবারের সদস্যকে প্রেসিডেন্ট পদ দেয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনেকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct