চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি, আপনজন: চোরাশিকারীদের শিকার আটকাতে গিয়ে সুন্দরবনের নেতাধোপানি বিটে গত শনিবার প্রাণ গেল অমলেন্দু হালদার (৫৯) নামে এক বন কর্মীর। অল্পের জন্যে প্রানে বেঁচে গেলেন তাঁর সঙ্গে থাকা বেশ কয়েক জন বন কর্মী। আর তাঁর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সুন্দরবনে বন কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে। বনমন্ত্রী ভোটের কাজে ব্যস্ততা দেখিয়ে ভোটের পরে সব কিছু দেখা হবে বলে জানিয়েছেন।দীর্ঘ দিন বন দফতরে নিয়োগ কাজ বন্ধ।সুন্দরবনের পর্যাপ্ত বন কর্মীর অভাবে চোরাশিকারীদের দাপট বেড়ে চলেছে। আর তাঁর ফলে লুট হচ্ছে সুন্দরবনের সম্পদ।শিকার হচছে সুন্দরবনের হরিণের মতন একাধিক বন্যপ্রাণ।আর মৃত বনকর্মীর পরিবারের সাহায্য, চোরাশিকারীদের গ্রেফতার,বন কর্মীদের নিরাপত্তা বিষয় সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য বন দফতরে মেল করে এপিডিআর নামে অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন। সুন্দরবনের মানুষের পাশে থেকে এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।এদিন এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর রাজ্য বন দফতরে চিঠি পাঠান।তিনি এদিন এই বিষয়ে বলেন,আমরা চাই সুন্দরবনের মানুষের, বন কর্মী, মৎস্যজীবি সহ বন্যপ্রাণদের সুরক্ষা।রাজ্য সরকার বন দফতরে দীর্ঘ দিন নিয়োগ করে নি।আর নিরাপত্তার অভাবে চোরাশিকারী,জলদস্যুদের আক্রমণ তাই বেড়ে চলেছে।যে এলাকায় গত শনিবার ঐ বনকর্মীকে গুলি করা ও কোপানো হয় তাঁর খুব কাছাকাছি বাংলাদেশ সীমান্ত জলপথে।আর তাই এই সব এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়ার দরকার আছে বলে আমরা মনে করি। আমরা আমাদের সংগঠনের তরফে এদিন চিঠিতে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছি। এগুলোর যতাযত ব্যবস্থা গ্রহন না হলে আমরা বৃহওর আন্দোলনের পথে নামবো। তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলোর অন্যতম হল, বনকর্মী অমলেন্দু হালদারের খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। বনকর্মী ও মৎসজীবীদের নিরাপত্তায় অতীব গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সকল সুন্দরবনবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।তদন্ত ও টহলদারির সময় মৎসজীবীদের যাতে কোনোরকম হয়রানি ও আতঙ্কিত করা না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে। বনকর্মীর ঘাটতি পূরণ করতে অবিলম্বে বাঘে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত পদে দ্রুত নিযুক্ত করতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct