তানজিমা পারভিন, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশাধিকার ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে হাতে বিয়ের প্রমাণপত্র নিয়ে ধর্নায় বসলেন এক যুবতী। বাড়ির সামনে থেকে ধর্না তুলে নিতে যুবতীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে ছেলের মা সহ পরিবারের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী। ঘটনাকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কতোল গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস। যুবতীর অভিযোগ,যে বাড়ির সামনে তিনি ধর্না চালাচ্ছেন সেই বাড়ির ছেলে বাপ্পি আলম। ১ মাস ৯ দিন আগে ঈদের দিন তাকে বিয়ে করেছে। বিয়ে করার পরেও ছেলে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলতে চাইছে না। এদিকে ছেলে ও তার পরিবারের লোকেরা বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে ছেলে বিয়ে করার কথা স্বীকার করে নিলেও পরিবারের চাপে যুবতীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই যুবতীর বাড়ি বিহারের কটিহার জেলায়। তবে হরিশ্চন্দ্রপুরের গিধীনপুকুর গ্রামে দাদুর বাড়িতে থাকতেন। মাস চারেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাশের কতোল গ্রামে ট্রাক্টর চালক বাপ্পির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যুবকের প্রেমের প্ররোচনায় পা দিয়ে তিনি প্রথম পক্ষের স্বামীকে ডিভোর্স পর্যন্ত দেন। এরপরে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। কিন্তু স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে ওই যুবক ও তার পরিবার বেকে বসে। এরপরই এদিন সকালে ওই যুবতী ওই যুবকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলে তাকে
প্রচন্ড মারধর করেন ছেলের মা নিলুফা বিবি সহ পরিবারের লোকেরা বলে অভিযোগ। যুবতী বলেন, মুসলিম আইনানুযায়ী আমাকে বিয়ে করেছে যুবক। আমার হাতে বিয়ের প্রমাণপত্র আছে। ছেলে কথা দিয়েছিল বিয়ের কয়েকদিন পর বাড়িতে নিয়ে যাবে। এখন পরিবারের চাপে ঘরে তুলতে চাইছে না। ছেলের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলে ছেলের মা ও তার পরিবারের লোকেরা আমাকে প্রচন্ড মারধর করেছে। তবে ছেলের বক্তব্য, আমি তাকে বিয়ে করলেও প্রথম পক্ষের স্বামী তাকে এখনো পর্যন্ত ডিভোর্স দেইনি। তাই আমি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলতে পারব না। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস জানায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct