আপনজন ডেস্ক: উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ার জেবেনিয়ানা শহরে অভিবাসীবিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলো থেকে যাওয়া অভিবাসীদের উপস্থিতির বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর ফলে তিউনিশিয়াতে আটকেপড়া অভিবাসীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সাব-সাহারা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রার আগে তিউনিশিয়াকে ট্রানজিট দেশ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
কিন্তু তিউনিশিয়া সীমান্তরক্ষীদের কড়া নজরদারির কারণে তাদের পক্ষে ইউরোপ অভিমুখে যাত্রা করা সম্প্রতি কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে দেশটিতে বাড়ছে আটকে পড়া অভিবাসীর সংখ্যা।
অভিবাসীদের এভাবে দেশটিতে অবস্থানের বিরুদ্ধে কথা বলেন বিক্ষোভকারীরা, ক্ষোভ উগড়ে দেন সরকারের বিরুদ্ধেও। তারা সরকারকে দেশটির কৃষকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
তাদের দাবি, কৃষকদের জলপাই বাগানে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছে এই অভিবাসীরা, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিকাজ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এল আমরা শহরের বাসিন্দা ৬৩ বছরের মোয়ামেন সালেমি বলেন, ‘আপনি (সরকার) তাদেরকে (অভিবাসীদেরকে) এখানে এনেছেন এবং আপনার দায়িত্ব হলো তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।’
তিনি আরো বলেন, ‘এল আমরা শহরে চিনি, ময়দা, রুটিসহ নানা ধরেনের খাবারের সংকট রয়েছে।’
তিউনিশিয়ার উপকূলবর্তী এল আমরা এবং জেবেনিয়ানা শহর দুটি মূলত ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যাত্রাপথ।
এই দুই শহরের পরিস্থিতি দেখেই অভিবাসী বিষয়ে দেশটির চলমান সংকট আঁচ করা যায়। সাব সাহারা আফ্রিকা, সিরিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশের অভিবাসীরা এই পথটি ব্যবহার করার চেষ্টা করে থাকেন।
কৃষির জন্য বিখ্যাত তিউনিশিয়ার এই শহর দুটি। এখানকার মোট বাসিন্দা ৮৩ হাজার। শহর দুটিতে সম্প্রতি বেড়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা।
মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে অ্যান্টিমাইগ্রেশন চুক্তির অংশ হিসেবে সীমন্তে নজরদারি বাড়িয়েছে তিউনিশিয়া। চুক্তি অনুযায়ী, সীমান্ত নজরদারি বাড়াবে দেশটি, যাতে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা অনিয়মিত পথে যাত্রা করতে না পারে। চুক্তির আওয়াতায় তিউনিশিয়াকে ১০০ কোটি ডলারের অর্থ সহায়তা দেবে ইইউ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct