আপনজন ডেস্ক: ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে একমাত্র মিশরের সঙ্গে রাফা ক্রসিং দিয়ে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পেত গাজার ফিলিস্তিনিরা। হামলার তীব্রতা বারিয়ে সেই রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশের দখল নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখান দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশও বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এতে গাজার উপকূলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মানবিক সংকটের মধ্যে থাকায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের মধ্যে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য জেটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্র অস্থায়ী জেটি নির্মাণ শেষ করার যে ঘোষণা দিয়েছে তাকে ‘নিজের কুৎসিত চেহারা ঢেকে রাখার ব্যর্থ প্রচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে হামাস। শুক্রবার এক বিবৃতিতে হামাসের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজা উপকূলের অস্থায়ী জেটি এই উপত্যকার জনগণের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করবে না। আমরা অবিলম্বে স্থল ক্রসিংগুলো খুলে দিয়ে সেই পথে ত্রাণ ও পণ্য আসতে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এ সম্পর্কে হামাসের মিডিয়া অফিস আরো জানিয়েছে, ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল গাজাবাসীর ওপর যে ভয়াবহ গণহত্যা ও নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে তার প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।মার্কিন অস্ত্র দিয়েই গাজাবাসীকে হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আমেরিকা বিশ্ববাসীর সামনে নিজের কদর্য চেহারাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার লক্ষ্যে ভাসমান জেটির মাধ্যমে ত্রাণ আনার পদক্ষেপ নিয়েছে।চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরাইলকে দুই লাখ রকেট ও বোমা সরবরাহ করেছে যা দিয়ে তেল আবিব পুরো উপত্যকাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে।গাজাবাসীকে হত্যা করার কাজে সব ধরনের ইন্ধন ও মদদ দেওয়ার পর সেই গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ তৎপরতা চালানোর মার্কিন উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct