আপনজন ডেস্ক: ক্রিকেট বলুন আর যেকোনো কাজেই বলুন, সব সময় কি নিজের সেরাটা দেওয়া যায়? বোধ হয় না। ক্লান্তি ছাড়াও আরও অনেক বিষয় ভর করতে পারে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সম্ভবত ক্লান্তি বলে কিছু নেই! দিনে দিনে নিজের সেরাটা দেওয়ার তাড়না তাঁর আরও বেড়েই চলছে। নিশ্চিত হেরে যাওয়া ম্যাচেও কোহলির গা ছাড়া ভাব এসেছে—এমন উদাহরণ নেই বললেই চলে। কীভাবে সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন কোহলি?কোহলির আইপিএল দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ‘এক্স’ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে ভারতীয় কিংবদন্তি এ নিয়ে কথা বলেছেন। প্রতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার তাড়না কোথায় পান—এই প্রশ্নে কোহলি বলেছেন, ‘বিষয়টা সহজ। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের ক্যারিয়ারের শেষ আছে। এটা ভেবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই না—ওহ! ওই দিন যদি ওটা করতাম! কারণ, সারা জীবন তো খেলে যেতে পারব না। এটা আসলে অসমাপ্ত কাজ রেখে না যাওয়ার বিষয়, পরে অনুশোচনায় না ভোগার বিষয়, যেটা আমি নিশ্চিত, ভুগব না।’২০০৮ সালে কোহলির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। না চাইলেও এখন কোহলির অবসরের কথা উঠতেই পারে। অবসরের পর তিনি কী করবেন, সেটাও হয়তো কেউ কেউ জানতে চাইবেন। কোহলি জানিয়ে রেখেছেন, একবার খেলা ছাড়লে অনেক দিন তাঁকে ক্রিকেটে পাওয়া যাবে না, ‘যত দিন খেলব নিজের সবটাই দিয়ে যাব, কিন্তু যখন খেলাটা শেষ করব, তখন চলে যাব, আপনারা আমাকে অনেক দিনের জন্য দেখবেন না (হাসি)।’চলতি আইপিএল মৌসুমেও ব্যাট হাতে কোহলি অনেক সমালোচককে চুপ করিয়ে দিয়েছেন। এবারের আইপিএলে ১৩ ইনিংস ব্যাটিং করে রান করেছেন ৬৬১—গড় ৬৬.১০। সবচেয়ে যেটা চোখে পড়ার মতো, সেটা তাঁর স্ট্রাইক রেট—১৫৫.১৬। ছক্কা মেরেছেন ৩৩টি, এর চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন শুধু কলকাতার সুনীল নারাইন (৩২) ও হায়দরাবাদের অভিষেক শর্মা (৩৫)।সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এটাই কোহলির শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ২৫ ইনিংসে তাঁর রান ১১৪১। গড় তো অবিশ্বাস্য—৮১.৫০, স্ট্রাইক রেট ১৩১.৩০। হয়েছেন দুবার টুর্নামেন্ট–সেরা। এবারও কোহলি নিঃসন্দেহে দারুণ কিছু করতে চাইবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct