আপনজন ডেস্ক: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার রাফায় বেসামরিক নাগরিকদের বৃহত্তর সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটির চারপাশে তাদের অভিযান জোরদার করেছে।বেয়ারবক এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি ‘রাফায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বর্তমান কর্মকাণ্ডের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ এবং শহরের কয়েক হাজার শরণার্থীর ‘পালানোর জন্য আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই’।জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘বেসামরিক জনসংখ্যার সুরক্ষাকে অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।এই মুহূর্তে এটি দৃশ্যমান নয়।’ইসরায়েলি বাহিনী মে মাসের শুরুতে মিসরের সঙ্গে রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ের গাজার পাশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। মার্কিন সতর্কতা সত্ত্বেও রাফায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছিল, সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ বেসামরিক নাগরিক ক্রসফায়ারে পড়তে পারে।
এদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ বলেছে, ‘সামরিক অভিযান জোরদার হওয়ার পর থেকে ছয় লাখ মানুষ রাফা থেকে পালিয়েছে।’ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন, শহরে কোনো ‘মানবিক বিপর্যয়’ হয়নি। তিনি হামাসের অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলোকে ধ্বংস করার জন্য রাফায় জোরালো অভিযান শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।বেয়ারবক বলেন, জার্মানি ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র।তারা ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য দাঁড়াবে’।তিনি আরো বলেন, কিন্তু ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির সমর্থনের অর্থ হলো, ‘ইসরায়েল যেন এই যুদ্ধে নিজেকে হারিয়ে না দেয় তা নিশ্চিত করার জন্য সব কিছু করা’।জার্মান মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জোর দিচ্ছি, সামরিক আত্মরক্ষা অবশ্যই হামাসের সন্ত্রাসীদের দিকে পরিচালিত হতে হবে। নিরীহ ফিলিস্তিনি শিশু, নারী ও পুরুষদের দিকে নয়।’ ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে এক নজিরবিহীন হামলা চালালে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হয়।ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, হামাসের সেই হামলায় এক হাজার ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। অন্যদিকে হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের সামরিক প্রতিশোধে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ হাজার ২৭২ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct