নিজস্ব প্রতিবেদক, ডোমকল, আপনজন: মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী হাবিব সেখের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করতে এসেন ভাঙ্গরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এদিনের সভা থেকে নাম করে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে বিভিন্ন ভাষায় আক্রমন করেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি কে রাজ্য নিয়ে এসেছেন তিনি খাল কেটে কুমির এনেছেন রাজ্য।মুর্শিদাবাদ জেলাকে এখন পরিযায়ী শ্রমিকের জেলায় পরিণতি করে দিয়েছে বিজেপি,তৃণমূল সরকার। বিজেপি ও তৃণমূল ধর্মের রাজনীতি করছেন। তিনি আরো বলেন মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা ভাঙ্গন নিয়ে আক্রমণ করেন বিজেপি ও তৃণমূলকে। বিধায়ক বলেন, রাজ্যে আইএসএফ ক্ষমতায় আসলে রাজ্যর সব মদের দোকান তুলে দেওয়া হবে।বিদায়ী সাংসদ আবু তাহের খানকেও প্রশ্ন করেন নওশাদ ২৫ কোটি টাকা উন্নয়ন তহবিলে পেয়েছেন সেই টাকা কোথায় কোথায় খরচ করেছেন সেটা দেখান।সাংসদ ও বিধায়কের উন্নয়ন তহবিলের টাকা থেকেও কাটমানি পাওয়া যায় সেটা জানাছিল না বিধায়ক হওয়ার পর বুঝতে পেরেছি সেই টাকা আমি নিইনা ।তাই যদি ভোটের আগে কেও বিরিয়ানি বা নগদ টাকা কেও দিতে আসেন তাহলে সেই টাকা নিয়ে নেওয়ার কথা বলেন নওশাদ। লক্ষ্মীর ভান্ডার মা বোনদের এক হাজার টাকা দিয়ে দিলেই হবে না তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য চিকিৎসা ও কর্মসংস্থান দিতে হবে। বিধায়ক আহ্বান করেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী হাবিব সেখ কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে পার্লামেন্টে পাঠাবেন।সন্দেশ খালিতে বামেদের হাত ধরে সন্ত্রাস শুরু করেছিল, পরে তৃণমূলের ছায়াতলে এসে শুদ্ধ করে নিয়েছে শাজাহান দের। মুসলিমদের সমস্যার কথা তুলে ধরলে বিজেপির দালাল বানিয়ে দিচ্ছে শাসক দল, তাও বলা বন্ধ থাকবে না মানুষের সমস্যার কথা। শ্রমমন্ত্রীর কাছে খবর থাকেনা রাজ্যর কত জন শ্রমিক রয়েছে সেই প্রশ্ন করতে গেলেই জেলে ভরে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার।সমকাজ সমবেত এর দাবিতে আন্দোলন করছে আমাদের দল। চাকরি হারানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নির্লজ্জ বলে আক্রমন করেন। এমনকি শিক্ষা মন্ত্রী তাদের দুর্নীতির কথা স্বীকার করেন নি।তার জেরে ২৫ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি হারিয়েছে। এদিনের নির্বাচনী জনসভায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct