আপনজন ডেস্ক: ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে। মূত্রনালিতে ক্যানসার শুরুতেই শনাক্ত করা গেলে নিরাময়ও সম্ভব। ষাটোর্ধ্ব যে কারও এ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে ষাটোর্ধ্ব বয়সী মহিলাদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। মূত্রনালি ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় তেমন কোনো উপসর্গ বোঝা যায় না। পরবর্তী সময় কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর মধ্যে রয়েছে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রস্রাবের ধারা পাতলা হয়ে যাওয়া ও পরিমাণ কমে যাওয়া, ঘনঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভব করা, অজান্তে প্রস্রাব ঝরা, প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া, ঘনঘন প্রদাহ, মূত্রনালি থেকে রক্ত ও রস ঝরা এবং মূত্রনালি ফুলে যাওয়া। রোগের অবস্থা ও মূত্রনালির কোন অংশ আক্রান্ত, তার ওপর নির্ভর করে এ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি। রোগীর বয়স, লিঙ্গ, রোগের বিস্তারের ওপর এটা নির্ভরশীল। এ রোগের চিকিৎসার মধ্যে অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি অন্যতম। তবে প্রাথমিকভাবে অস্ত্রোপচারই এ রোগের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা। কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়ারও প্রয়োজন হয়ে থাকে। ক্যানসার ছড়িয়ে পড়লে কারও কারও মূত্রথলিসহ মূত্রনালি কেটে ফেলতে হয়। কারও কারও পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কারও আবার পুরুষাঙ্গ ও মূত্রনালি অপসারণ করারও প্রয়োজন হয়। অবস্থাভেদে কারও লসিকাগ্রন্থিও ফেলে দিতে হয়। নারীর মূত্রথলি, মূত্রনালি, যৌনদ্বার ফেলে দিতে হয়। মূত্রথলি ফেলে দিলে বিকল্প পথে প্রস্রাব নির্গমনের ব্যবস্থা করতে হয়। তবে শল্যচিকিৎসায় কিছু জটিলতাও তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অবশকরণজনিত জটিলতা, খাদ্যনালিতে প্যাঁচ লাগা, মূত্র ঝরা ও সংক্রমণ। এছাড়া মৃত্যুঝুঁকিও থাকে। তবে এ ঝুঁকি কম ১ থেকে ২ শতাংশ। ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগটি আবার ফিরে আসতে পারে, পচন ধরতে পারে, মূত্রনালি সরু হতে পারে। প্রস্তুতকৃত বিকল্প পথ ছাড়া অন্য পথ দিয়ে প্রস্রাব ঝরতে পারে। শরীরের বাইরে থেকে ও রেডিও অ্যাকটিভ বড়ি বা পিলেট ক্যানসারে আক্রান্ত জায়গায় বসিয়ে দুভাবে রেডিয়েশন দেওয়া হয়। ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে অ্যান্টিক্যানসার ওষুধ ব্যবহার করা যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া ক্যানসার নিরাময়ে এ থেরাপি প্রযোজ্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct