রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ, আপনজন: তীব্র গরমে পুড়ছে রাজ্য রাজ্যের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার সুতি, সামশেরগঞ্জ ও ফারাক্কা বেড়েছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ৪১-৪২ ডিগ্রতি উপরে ঘুরছে সুতি, সামশেরগঞ্জ ও ফারাক্কা। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সেভাবে বাজারে বের হচ্ছে না গরমের কারণে। আর বাজার ঘাটে মানুষজন না থাকায় খাঁ খাঁ করছে বাজার। সকাল থেকেই গরমের তীব্রতা চড়া থাকায় বইছে লু। আর গরমের কারণেই বাজারের পাশাপাশি মার খাচ্ছে বাস, অটো ও টোটো চালোকরা ও। সেভাবে প্যাসেঞ্জার দেখা যাচ্ছেনা বাসে, অটো ও টোটোতে। সুতির অরঙ্গাবাদে এক টোটো চালক জানান, পেটের টানে প্রচন্ড রোদ গরম মাথায় রেখেই বের হচ্ছেন টোটো নিয়ে, কিন্তু সারাদিন হাতে গোনা কয়েকটা প্যাসেঞ্জার ছাড়া সেভাবে কপালে জুটছেনা লক্ষী। এক কথায় তীব্র গরমের কারণে সকাল থেকে রাত সেভাবে টোটো চালিয়ে লাভের মুখ দেখছে না টোটো চালকরা। তীব্র গরমের দাবদাহে অতিষ্ঠিত সাধারণ মানুষ। টিউবওয়েল গুলোতেও উঠছে না জল। পুকুর নালা সব শুকিয়ে গেছে। জলের হাহাকারে চরম দুর্ভোগে পশুপাখিরাও। মাঠে ফসল রোপন করে বৃষ্টি না হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। কবে বৃষ্টি নামবে পরিস্থিতি শান্ত হবে ঠাণ্ডা হবে। এই ভাবনতেই দিন কাটছে অরঙ্গাবাদবাসীর। টোটো চালকরা জানান, বাস পরিষেবা দূর দুরান্ত পর্যন্ত চলে কারণ বাসে মুটামুটি বাসে প্যাসেঞ্জার থাকলেও প্যাসেঞ্জার নেই টোটোতে। কারণ টোটো একেবারেই স্থানীয় এলাকার ওপর ভিত্তি করেই চলে। অন্য সময় যেখানে সারা দিনে টোটো চালিয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরত টোটো চালকরা। সেখানে তীব্র গরমের কারণে ২০০ টাকাও পার করতে পারছেন না টোটো চালকরা। কারণ গরমের কারণে মানুষ বের হচ্ছেন না বাইরে। তাপ প্রবাহের জন্য ঘর থেকে বেড়ানো যেন মানুষের পক্ষে কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে। সেই কারণে এই অবস্থা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct