মোহাম্মাদ সানাউল্লা, লোহাপুর, আপনজন: আকাশে নেই স্বস্তির বৃষ্টি। কিন্তু রোদের তীব্র দহনকে উপেক্ষা করেই মাঠের পাকা ধান বাড়িতে তুলে আনার জন্য কৃষি কাজে নেমে পড়েছেন কৃষকেরা। বেলা দশটা এগারোটা বাজতেই তীব্র রোদের ঝলকানিতে শুন সান হয়ে যাচ্ছে রাস্তা ঘাট। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে মাঠের বোরো ধান পেকে গেছে। এই সময় স্বস্তির বৃষ্টি না হলেও অন্তত মাঠের পাকা ধান নির্বিঘ্নে বাড়িতে তুলে আনতে পারছেন কৃষকেরা। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষি যন্ত্রের আবিষ্কার হয়েছে ঠিকই। গ্রামীন এলাকায় কৃষি যন্ত্রের ব্যবহারের সুবিধা হয়তো তারা জানেন। নলহাটি ২ নং ব্লকের গোপালচক গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন বলেন, ধান কাটা মেশিনের অনেক দাম। যা কেনা সম্ভব নয়।ভাড়া করে হয়তো বাইরে থেকে আনা যায়। কিন্তু রাস্তার ধারের জমির ধান না ওঠা পর্যন্ত সেই বড় মেশিন মাঠের মধ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। যার ফলে শরীরটাই তাদের সম্ভবল।গা খাটিয়েই তাদের কৃষিকাজ করে নিতে হয়।প্রতি বছর বোরো ধান কাটার সময় কাল বৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টিতে মাঠের ধান, ঘর,বাড়ি গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে। কিন্তু এবছর কাঠফাটা রোধে মাঠ, ঘাট,অফিস, আদালত শহর, বাজার, হাসপাতাল সর্বত্রই মানুষ থেকে পশু পাখি হাসফাসিয়ে উঠছে ঠিকই। কিন্তু এবছর অন্তত কৃষকেরা রোদের তীব্র দহনকে উপেক্ষা করে সকাল সকাল মাঠে গিয়ে দুপুর হতেই কৃষি কাজ অনেকটাই নিজের মতো করে নিতে পারছেন কৃষকেরা। কারণ অন্যান্য বছর বোরো ধান তোলার সময় কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টিতে মাঠের শুকনো পাকা ধান বৃষ্টির জলে ভিজে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে যান কৃষকেরা। যার ফলে কৃষকের অল্প লাভজনক কৃষি জমির ধান তুলে আনতে খরচ হয়ে যায় অধিক টাকা। কিন্তু এ বছর স্বস্তির বৃষ্টিও নেই। আকাশে বৃষ্টির গন্ধ নেই। গত দু সপ্তাহ ধরে জেলা জুড়ে ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করছে তাপমাত্রা। যার ফলে খাঁ খাঁ করছে মাঠঘাট গ্রামগঞ্জ থেকে শহর বাজার।এই তীব্র দহনে বিভিন্ন কাজে যারা বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন তারা শরীরে আরাম নিতে আখের রস সহ তাদের অন্যান্য ঠান্ডা খাবারের চাহিদাও বাড়ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct