মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: প্রচন্ড তাপপ্রবাহ যখন গোটা রাজ্য জ্বলছে, পূর্ব বর্ধমান তার থেকে খালি নেই ।আরবের মরুভূমি বা রাজস্থানের মরুভূমিকে হার মানাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের তাপমাত্রা। বহু মানুষ সান স্ট্রোকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ।কয়েকজনের মৃত্যু সংবাদও পাওয়া গেছে। ঠিক সেই সময়ই একটি সুখবর যে পূর্ব বর্ধমানে এ বছর রেকর্ড পরিমাণে বোরো ধান উৎপন্ন হতে চলেছে। এখনো পর্যন্ত ফসল তোলার সময় কোনরূপ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা যায়নি ।প্রচন্ড তাপপ্রবাহে বোরো ধান যথেষ্ট পরিমাণে ফলন হয়েছে। এতে পূর্ব বর্ধমানের চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। পূর্ব বর্ধমান আমন ও বোরো ধানে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপন্ন করে গোটা জেলা, রাজ্য ,দেশ এমনকি বিদেশে ও রপ্তানি করে থাকে। রায়না, খণ্ডঘোষ ,মাধবডিহি, জামালপুর, মেমারি ,গলসি, আউসগ্রাম ,গুসকরা ,ভাতার ,কালনা ,কাটোয়া সহ পূর্ব বর্ধমানের প্রতিটি এলাকায় ব্যাপক পরিমাণের বোরো ধানের ফলন দেখা গেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মধক্ষ মেহবুব মন্ডল বলেন এই বছর পূর্ব বর্ধমান এ ১ লক্ষ ৬৪০০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এক হেক্টর জমিতে ৫.২ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হবে। এবছর আবহাওয়া অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকায় ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনুকূল । রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি চাষীদের কৃষক বন্ধু ,শস্য বীমা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে চাষীদের কে ধান উৎপন্ন করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মেহবুব মন্ডল আরো বলেন উন্নত মেশিনারি ক্যানেল সংস্কার সহজ চাষীদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে । মেহবুব মন্ডল বলেন এ বছরে এখনো পর্যন্ত বড় কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি এবং উন্নত মেশিনের ফলে খুব তাড়াতাড়ি ধান কেটে ঝেড়ে চাষিরা ফসল বাড়িতে তুলে নিতে পারছে। এর ফলে তারা অতিরিক্ত লাভ করতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাষীদের কাছে ধান কিনে নেবে, যদি চাষিরা এই ধান বিক্রি করতে চাই। মিনিকেট ধান বেশিরভাগ সময় চাষিরা সংরক্ষণ করে রাখেন তারা দামও বেশি পান । মোটকথা প্রচন্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত মানুষ রাস্তাঘাটে বেরোতে পারছেন না ঠিক সেই সময়ই চাষীরা এই রোদ গরমে মাঠে ফসল তুলতে ব্যস্ত ।এত রোদ গরমের কষ্ট তাদের কাছে ধরা দিচ্ছেন । অতিরিক্ত ফলন মুখে হাসি ফুটিয়েছে। বর্ধমানের চাষিরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct