আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি বাহিনীর পৈশাচিক গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এদিকে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ দমনে চলছে গণগ্রেফতার।সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। প্রথমে কলম্বিয়া ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে উঠে। সেখানে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ।ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশকিছু ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল হয় সশরীরে ক্লাস। সেখান থেকেও ১০০ জনের বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ খবর দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন।এর মধ্যে সোমবার রাতে পুলিশ নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দমাতে যায়। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। এ সময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতে উত্তেজনা আরো বাড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বার্কলে, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ চলছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিতর্ক চলছিল। তখন থেকে দুটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে উঠে।একটি পক্ষ গাজা যুদ্ধকে অনৈতিক দাবি করে গণহত্যা বন্ধে কর্মসূচি পালন শুরু করে। তারা ইহুদিবিরোধী প্রচার অব্যাহত রাখে।সোমবার ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এ সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তিনি দুই পক্ষর কাজই নিন্দনীয় মনে করেন।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশকে শহরের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ডাকা হয়েছিল। সেখান থেকে ১০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর প্রতিবাদটি সামগ্রিক রূপ পায়। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ২০০তম দিনে গড়িয়েছে। এরইমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। এত প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জোরালো হলেও তা বন্ধের কোনো দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct