আপনজন ডেস্ক: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানে অবস্থান করছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরইমধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক ও বাণিজ্য জোরদারে বিভিন্ন ইস্যুতে আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইসলামাবাদ ও তেহরান। তবে মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশের এমন উষ্ণ সম্পর্ক ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি সই করায় পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের সঙ্গে কোনো দেশ ব্যবসায়িক চুক্তি করার আগে তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে এই মুখপাত্র বলেছেন, পাকিস্তানের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার ও দেশটিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশ হল যুক্তরাষ্ট্র। আমরা গত ২০ বছর ধরে পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সাফল্যের সঙ্গে আমাদের দুই দেশের স্বার্থ জড়িত। আমরা আমাদের এই অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখব। তবে তেহরানের সঙ্গে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কারণে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই কর্মকর্তা। এমনকি বিশ্বে ইরানের অবস্থানের কারণে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আরোপের সম্ভাবনার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct