আপনজন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পশ্চিম তীরের একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে—এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইসরায়েলি সরকার তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। উল্লিখিত পরিকল্পনার অধীনে ইসরায়েলের নেতজাহ ইহুদা ইউনিটের সদস্যরা, যাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে, তারা কোনো মার্কিন সামরিক সহায়তা পাবেন না বা কোনো প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন না। মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন কয়েক দিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে পারেন। তিনটি সরকারি সূত্র থেকে এমন তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার আগে পশ্চিম তীরের ঘটনার ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউনিটটিকে ২০২২ সালে পশ্চিম তীর থেকে প্রত্যাহার করা হয়।মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযোগ উঠেছে আইডিএফ এবং পুলিশের একাধিক ইউনিটের বিরুদ্ধেও। তাদের আচরণের বিস্তারিত মূল্যায়নের পর নিষেধাজ্ঞার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আক্সিওস জানিয়েছে, অন্য ইউনিটগুলোকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কারণ তারা আচরণে বদল ঘটিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৯৭ সালের ‘লেহি আইন’ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে। এই আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বিদেশি নিরাপত্তা ও সামরিক ইউনিটগুলোর ক্ষেত্রে বিদেশি সহায়তা ও প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায়। ইসলায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। একটা সময়ে আমাদের সেনারা দানবিক সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াই করছে।’তিনি বলেন, ইসরায়েল সরকার সম্ভাব্য সব উপায়ে এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে। আইডিএফের একটা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে চরম অযৌক্তিক এবং অনৈতিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তা ‘আমাদের  শত্রুদের’ ভুল বার্তা দেওয়া হবে। বিপজ্জনক নজির স্থাপন করা হবে। এক্সে তিনি লেখেন, ‘তারা (নেতজাহ ইয়েহুদা ইউনিট) সামরিক আইন মেনে চলে এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করে।’এদিকে ইসরায়েলের জন্য সহায়তা অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে তাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্সি। মার্কিনি সহায়তার নিন্দা করে তারা জানায়, এর ফলে সহিংসতা আরো বাড়বে। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে শনিবার পাস হওয়া একটি আইনে ইউক্রেন ও তাইওয়ানের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সমর্থন প্যাকেজটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে বেশ কয়েকজন প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট এই আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

প্লাবিত ডেবরার দশটি মৌজা পরিদর্শনে জয়েন্ট বিডিও

রাশিয়ায় গুগলের বিরুদ্ধে ‘অবিশ্বাস্য’ জরিমানা

ডানা মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভার কর্মীদের ছুটি বাতিল