মোহাম্মাদ সানাউল্লা, লোহাপুর, আপনজন: নলহাটি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে সংকটে পড়ল ব্লক তৃণমূল। প্রথম দফায় ব্লক সভাপতি ঘোষনার কিছু দিনের মধ্যেই তাকে ভেঙে দিয়ে পাঁচ জনের কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ জনের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় রেজাউল হককে। কিন্তু ৬ টি অঞ্চলের মধ্যে যে পাঁচ জনের কমিটি করা হয়েছে, সেখানে কেবলমাত্র তিনটি অঞ্চল থেকেই পাঁচ জনের কমিটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে। এই তিনটি অঞ্চল থেকে পাঁচজনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, একই পরিবারের দুজন এবং একই অঞ্চলের দুজন করে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ভদ্রপুর এক নম্বর অঞ্চল থেকে একই পরিবারের শুভাশিস ভট্টাচার্য এবং নলহাটি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বরুন ভট্টাচার্যকে নেওয়া হয়েছে।একই ভাবে বারা এক নম্বর অঞ্চল থেকে কুদরতে খোদা ওরফে স্বপন, আবু জাহের রানাকে করা হয়েছে। কিন্তু ভদ্রপুর এক নম্বর নওয়াপাড়া এবং বারা দু নম্বর অঞ্চল থেকে কাউকেই নেওয়া হয়নি। কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ এই অঞ্চল গুলিতে বাম কংগ্রেস নেতৃত্ব অনেকটাই এগিয়েছিল গত নির্বাচনে। যার ফলে ভোটে তার প্রতিফলন ঘটেছিল। এবারও লোকসভা নির্বাচনে নেতৃত্বে হীনতায় সেই অবস্থাই হবে। বরং ফলাফল আরো বেশি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা। তার কারণ হচ্ছে যারা নিজের এলাকায় গত নির্বাচনে ভোট পাইনি তারা অন্য এলাকাতে ভোট করতে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। যে সব এলাকায় তারা ভোট করতে যাচ্ছেন সেই এলাকার নেতৃত্বকে না জানিয়ে বৈঠক প্রচার করছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এই অভিযোগ আরো জোরালো হয়, শনিবার বিকেলে মহাসিন বিএড কলেজ ক্যাম্পাসে বায়তুল মোকাররম মসজিদের তরফ থেকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য একটি অনুষ্ঠানে মোঃ মহাসিন মন্ডলের ডাকে সব অঞ্চলের নেতা কর্মীরা একজোট হয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নলহাটি ২ নং ব্লক আইএনটিটিইউসি সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব সভাপতি নূর হাবিব মোল্লা, ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকারী সভাপতি শামসুল হোদা বকুল সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। সেই অনুষ্ঠানে কর্মীরা পাঁচজনের কমিটির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে একরকম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। কেবল তিনটি অঞ্চল থেকেই পাঁচ জনের কমিটি নির্বাচিত করা হল। অথচ বাকি তিনটি অঞ্চলকে বঞ্চিত করে সে অঞ্চলের নেতা কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে নেতৃত্ব হীনতায় কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে কেউ কেউ আবার বাম কংগ্রেসে যোগদান করছেন। সেখানে কর্মীদের ধরে রাখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। মোঃ মহাসিন মণ্ডল বলেন, আই এন টি টি ইউ সির জেলা সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্যকে এব্যাপারে জানানো হয়েছে, দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ মেটাতে না পারলে তার সমর্থকেরা পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন। পাঁচ জনের ব্লক তৃণমূল কমিটির সদস্য কুদরতে খোদা স্বপন বলেন, জেলা রাজ্য স্তর থেকে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। প্রত্যেক মিটিংয়ে সেই নেতৃত্বদের বাড়ি গিয়ে ডাকা হয়। মিটিংয়ে যদি কেউ না আসে তাহলে সেটা তার ব্যাপার। দলে সবকেই সমান গুরত্ব দেওয়া হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct