মোহাম্মাদ সানাউল্লা, লোহাপুর, আপনজন: এবার তফশিলি জাতি ও উপজাতির ভোট ব্যাংকের উপর নজর শাসক দল তৃণমূলের। কারণ তৃণমূলের পক্ষ থেকে তফশিলি সংলাপ শিরোনামে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানে তফশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হবে। সেই প্রচার অভিযানে একদিকে তফশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের উপর বিজেপির অত্যাচারের অভিযোগ তুলে ধরা হবে। অন্যদিকে তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কি কি জনমুখী কর্মসূচি নিয়েছে সেগুলিও তুলে ধরা হবে তফশিলি সংলাপ প্রচার অভিযানের মধ্য দিয়ে। সেই মর্মে শুক্রবার দুপুরে নলহাটি দু নম্বর ব্লকের তৈহার গ্রামে তফশিলি সংলাপ অভিযান কর্মসূচির সূচনা করেন হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নলহাটি ২ নং ব্লক তৃণমূলের ফাইভ ম্যান কমিটির সাধারণ সভার সম্পাদক আবু জাহের রানা, তফশিলি জাতি ও উপজাতির ব্লক সভাপতি বিদ্যুৎ মাল সহ স্থানীয় নেতা কর্মীরা। তফশিলি জাতি ও উপজাতির নলহাটি ২ নম্বর ব্লক সভাপতি বিদ্যুৎ মাল বলেন, কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার তফশিলি জাতির উপর কিভাবে অত্যাচার করে এবং তাদের কতটা নিম্ন চোখে দেখে তার জ্বলন্ত উদাহরণ, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূকে সংসদ ভবন উদ্বোধনের সময় সাঁওতাল মহিলা বলে তাকে ডাকা হলো না। একই ভাবে রাম মন্দির উদ্বোধনেও তফশিলির সম্প্রদায়ের মানুষকে ডাকা হয়নি। এখান থেকে বোঝা যায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার তফশিলির সম্প্রদায়ের মানুষকে শুধু ভালবাসে না তাকে ঘৃণার চোখেও দেখে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সব প্রকল্পগুলি করেছেন, যেমন জয় জওহর বা তফশিলি বন্ধু প্রকল্পে ৬০ বছরের পিছিয়ে পড়া তফশিলি সম্প্রদায় মানুষের জন্য বার্ধক্য ভাতা। এছাড়াও তফশিলির সম্প্রদায় লক্ষ্মীর ভান্ডারে যেখানে এক হাজার টাকা পেতেন তাদের জন্য এখন বারোশো টাকা করা হয়েছে। এখান থেকেই পরিস্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝাতে চাইছেন অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের যাতে উন্নয়ন হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য যে প্রকল্পগুলি রূপায়িত করেছেন সেই উন্নয়নে বার্তা নিয়েই আমরা তফশিলি জাতি ও উপ জাতি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে গিয়ে তুলে ধরছি। সেই সঙ্গে বিজেপি সরকারের যে অপকর্ম সেগুলো তুলে ধরা হচ্ছে এই কর্মসূচিতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct