আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: গলসি ১ নং ব্লকের পারাজে তৃণমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলে মারামারি। ঘটনায় আহত দুইপক্ষের মোট ছয়জন। বৃহস্পতিবার বৈকালে বন্ধ থাকা পার্টি অফিসের চাবি খোলাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়ায় প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন ও বর্তমান ব্লক সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জীর লোকেরা। বিতর্ক থেকে লাঠি হাতে মারামারিতে জড়িয়ে পরে দুইপক্ষ। তৃণমূল নেতা আনোয়ার সেখের অভিযোগ, এদিন বিকালে পারাজে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের চাবি খুলে দিলে সেখানে তাদের গোষ্ঠীর তিনজন লোক বসে ছিল। তারা সেখান থেকে চলে বাড়ি এলে। তাদের উপর চড়াও হয় জাকির গোষ্ঠীর লোকজন। এরপরই তাদের তিনজনকে বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তাদের গোষ্ঠীর বসির সেখ, মতি মন্ডল ও সেখ রাজু জখম হয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা মফুল সেখ বলেন, আমরা বহু কষ্টে পারাজে বিগত পঞ্চায়েত গড়েছিলাম। এবারে আমাদের কাউকে টিকিট দেয়নি। আমরাই পার্টি অফিসটা নির্মাণ করেছি। ব্লক সভাপতি পরিবর্তন হবার পর অশান্তি হতে পারে বলে সেটা বন্ধ ছিল। এদিন ব্লক সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জী পারাজে মিটিং করে পার্টি অফিসটা খুলে দেয়। খোলা পার্টি অফিসে তাদের লোকরা ঢুকতে গেলে ব্লক সভাপতির লোকেরা বাধা দেন। এর জন্যই মারামারি হয়েছে। আমাদেরও সেখ সাদ্দাম, নয়ন মল্লিক, রাকিবুল আনসারী জখম হয়েছে। এদিকে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, এটা কোন গোষ্ঠী দন্দ নয়। পার্টি অফিসটা সব তৃণমূল কর্মীদের। সেখানে সব কর্মীরা প্রবেশ করবে। পার্টি অফিসটা আচমকা খুলে দেওয়ার কারনে ছোট একটা অশান্তি হয়েছে। আমরা ব্যপারটা দেখে মিটমাট করার চেষ্টা করছি। বিষয়টি নিয়ে বর্তমান ব্লক সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জ্জী বলেন, এখন কর্মী সভায় আছি। পারজে কর্মী সভা হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, হা পারজে কর্মসভা হয়েছে। তবে মারামারির ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করতে বলেন। জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই পার্টি অফিস খোলা হয়েছিল। এ বিষয়ে দল তদন্ত করে দেখবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct