রাজু আনসারী, সুতি ও সারিউল ইসলাম, হরিহরপাড়া, আপনজন: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থন শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের সুতির ছাবঘাটি এলাকায় জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এচাড়া মুর্শিদাবাদের আরও দুই প্রার্থী আবু তারে খানও ইউসুফ পাঠানের সমর্থনেও সভা করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী আখরুজ্জামান, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, জঙ্গীপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন, সুতির বিধায়ক ঈমানি বিশ্বাস, সাগরদীঘির বিধায়ক বাইরোন বিশ্বাস, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। এদিন জনসভা থেকে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিকে হারাতে পারে তৃণমূল। তাই তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। এনআরসি এবং সিএ এ বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনকে ‘বিজেপি কমিশন’ বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য ছাড়ার আগে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দলের ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করছে। কোচবিহারে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়েছে, রাজ্য পুলিশ নেই কেন? এ ধরনের নিরপেক্ষ নির্বাচন কীভাবে আশা করেন? এটা বিজেপির কমিশন। কেউ ভোট না দিয়ে রাজ্য ছাড়লে বিজেপি তাদের আধার কার্ড ও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। বিজেপির ‘আব কি বার ৪০০ পার’ স্লোগানকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, গেরুয়া শিবির ২০০-র বেশি আসন পাবে না। মনে রাখতে হবে, এটা স্বাধীনতার লড়াই। মোদী ক্ষমতায় ফিরলে কেউ স্বাধীন থাকবে না। যদি তারা ইউনিফর্ম সিভিল কোড প্রয়োগ করে তবে আপনি আপনার পরিচয় হারাবেন। ইউসিসি মানে কোনো ধর্মই অবশিষ্ট থাকবে না। আমি জীবন দিতে পারি, কিন্তু সিএএ, এনআরসি লাগু করতে দেব না।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct