আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: নদীয়া তীব্র গরম হাঁসফাঁস অবস্থা আর এর মধ্যেই মাটির তৈরি ট্যাপকল চাহিদা বেড়েছে কুমোরপাড়ায়। কিন্তু মাটির তৈরি কলসির এখনও বিকল্প নেইট্যাপকল যুক্ত কলসির। ফলে বেজায় খুশি কুমোররা।তাই দিন-রাত এক করে কলযুক্ত কলসি তৈরিতে নেমেছেন তাঁরা।নাকাশিপড়া পাড়া,চাপড়া, শান্তিপুরে সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বীরপুর কুমোরপাড়ায় গরম পড়ার কয়েক মাস আগে থাকতেই কুমোররা কলসি তৈরিতে মন দেন। প্রতি বাড়িতে পুরুষ ও মহিলারা কোমর বেঁধে এটাই করেন।মাটির কলসি তৈরির পর বাজার থেকে ট্যাপকল কিনে এনে তা কলসিতে লাগিয়ে দেন তাঁরা।চাপড়া থানার নবীন নগর অসিত পাল বলেন, এত গরম পড়েছে যে,ট্যাপকল যুক্ত কলসি বিক্রির চাহিদা গত বছরের থেকে বেড়ে গিয়েছে প্লাস্টিক,স্টিল জিনিসপত্র চাহিদার কারণে ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছিল।শিল্পী প্রদীপ পাল বলেন,গ্রাম শহরে বিভিন্ন জায়গায় থেকে রিক্সায় করে বিক্রয় করছে।বর্তমান মাটি আনতে ভালো টাকা পড়ে যাচ্ছে। সেই জ্বালানি দাম বেড়েছে এক মণ কাঠের দাম বেড়ে ২০০ টাকা হয়েছে।উপাদানের দাম বৃদ্ধির পরেও এবছর কিছু লাভ থাকছে। মাটির পাত্রে জল ঠান্ডা থাকে।তাই মানুষজন এই ট্যাপকল যুক্ত মাটির কলসি বেশি কিনছেন। বাজারে এবং রাস্তার ধারে গাড়িতে করে নিয়ে হাজির মাটির তৈরি কলসি।নিমাই পাল বলেন,ছোট-মাঝারি-বড় সব ধরনের কলসি বিক্রি হচ্ছে। ছোট কলসির দাম৩০০ টাকা থেকে শুরু।আছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত দামের।দূর থেকে আসা ক্রেতাদের কেউ কেউ একাধিক কলসিও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।স্বভাবতই বিক্রেতাদের হাসি চওড়াই এবার।বিশেষত গ্রামাঞ্চলে এখনও পানীয় জলের জন্য মাটির কলসি বা হাঁড়ি ব্যবহার করা হয়।মাটির কলসিতে জল পান করার অনেক পরিবার। তীব্র তাপদাহের কারণে আবারোও চাহিদা বাড়েছে মাটির কল লাগনো মাটির কলসির”।আর এতে লাভের মুখ দেখছেন কুমোর থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct