আপনজন ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে প্রথম দফার ভোটের আগে মঙ্গলবার কাঙ্কের জেলায় ২৯ জন নকশালপন্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা।বামপন্থী চরমপন্থার বিরুদ্ধে রাজ্যের লড়াইয়ের ইতিহাসে একক এনকাউন্টারে এটিই ছিল সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। ২০২৪ সালের শুরু থেকে মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি বস্তার অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সব মিলিয়ে ৭৯ জন নকশাল নিহত হয়েছে।এবারের বন্দুকযুদ্ধে তিন নিরাপত্তারক্ষীও আহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা যিনি স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি এই এনকাউন্টারকে “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক” বলে অভিহিত করে বড় সাফল্য হিসাবে প্রশংসা করেছেন। এর জন্য সাহসী সুরক্ষা কর্মীদের কৃতিত্ব প্রাপ্য বলে মন্তব্য করেন।বস্তার রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, দুপুর ২টো নাগাদ ছোটবেড়িয়া থানার অন্তর্গত বিনাগুন্ডা ও করোনার গ্রামের মধ্যবর্তী হাপাটোলা জঙ্গলে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) একটি যৌথ দল মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বেরিয়েছিল। নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী) শঙ্কর, ললিতা, রাজু এবং অন্যান্যদের উত্তর বস্তার ডিভিশনের সিনিয়র ক্যাডারদের উপস্থিতির তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।ওই আইপিএস অফিসার জানান, এলাকায় টহলদারি চলাকালীন দু’পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গুলির লড়াই শুরু হয়।ঘটনাস্থল থেকে ২৯ জন মাওবাদীর দেহ এবং একে-৪৭, এসএলআর, ইনসাস এবং ০.৩০৩ রাইফেল সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।নকশাল অধ্যুষিত বস্তার লোকসভা আসনে প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল এবং বস্তার অঞ্চলের অন্তর্গত কাঙ্কের লোকসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৬ এপ্রিল।ওই এলাকায় এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানান সুন্দররাজ। তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে তিন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে রাজ্যের রাজধানী রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct