নিজস্ব প্রতিবেদক, নৈহাটি, আপনজন: “একশ বছর আগে ‘আনন্দময়ীয় আগমনে’ কবিতা লেখার কারণে ব্রিটিশ বিচারক সুইংহো কাজী নজরুল ইসলামকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে হুগলি জেলা স্থানান্তরকরণের সময় কবিকে ট্রেন পরিবর্তনের জন্য নৈহাটিতে কয়েদির পোশাকে নামানো হয়। সেদিন কয়েদির পোশাকে কবিকে দেখে নৈহাটিবাসী ক্ষুব্ধ হয়।তাদের দাবির কাছে বাধ্য হয়ে জেল এবং রেল পুলিশ কবিকে নৈহাটি জি.আর.পি থানায় রেখে সাধারণ পোশাক পরিয়ে নৈহাটি থেকে আবার হুগলী জেলে নিয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটে ১৯২৩ সালে ১৪ই এপ্রিল।’’ এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কথাগুলি বলেন বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. শেখ কামাল উদ্দীন। স্মরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন নৈহাটি জি.আর.পি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ ভকত, পরেশ সরকার, থানার অন্যান্য আধিকারিক ও নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সদস্যরা ছাড়াও নৈহাটির বিশিষ্টজনরা। নৈহাটির বিশিষ্ট সমাজসেবী পরেশ সরকার অনুষ্ঠানে কবির স্মৃতিতে ফলক স্থাপনের জন্য ২০০৪ সালের তদানিন্তন নৈহাটি জি.আর.পি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কৃষ্ণলাল মাইতির অবদান উল্লেখ করেন। নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক শাহজাহান মন্ডল জানান যে, তাদের সংস্থার পক্ষ থেকে কবির একটি আবক্ষ মূর্তি নৈহাটিতে স্থাপন করা হবে। তার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা যাতে পাওয়া যায় সেই জন্য পরেশ সরকারকে অনুরোধ জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে চুরুলিয়া থেকে কবির বংশধর সোনালী কাজী মোবাইলে উদ্যোক্তাদের শুভেচ্ছা জানান। কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে আরও উপস্থিত ছিলেন চুরুলিয়া দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশনের পক্ষে পরিতোষ শীল, অমিয় গাঙ্গুলী; অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক ত্রৈমাসিকের পক্ষে সঞ্জয় রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুপ্রিয়া কুণ্ডু, মানস গাঙ্গুলী, সৌরকান্তি বোস ও ললিতা সিংহ। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক অশোক দাস, মাইম শিল্পী বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী, তুষার আহমেদ প্রমুখ। সমগ্ৰ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নজরুল চর্চা কেন্দ্রের প্রচার সচিব আয়ুব আলী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct