আপনজন ডেস্ক: সিবিআই, এনআইএ, ইডি এবং আয়কর বিভাগের প্রধানদের পরিবর্তনের দাবিতে সোমবার নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের বাইরে ধর্না দেওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের আটক করে দিল্লি পুলিশ।
তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করে এই ধর্নার ঘোষণা দেয়। আটক করা হয় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমুল হক, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষ, বিধায়ক বিবেক গুপ্তা, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেন ও আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের সহ-সভাপতি সুদীপ রাহাকে।
ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের অফিসের বাইরে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। ৪৫ মিনিট বিক্ষোভের পর পুলিশ আমাদের আটক করে। অারও অভিযোগ, ডেরেক এবং আবির রঞ্জন বিশ্বাসকে দিল্লি পুলিশ অমানবিকভাবে গলা চেপে টেনে হিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়েছে। এমনকী সম্প্রতি পায়ে অস্ত্রোপচার করা দোলা সেনকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিরোধী দলগুলিকে টার্গেট করছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ।
ডেরেক বলেন, বিকেল সাড়ে চারটের সময় আমরা দিল্রিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করি। আমাদের একমাত্র দাবি ছিল, ইডি-সিবিআই এবং এনআইএ-র অধিকর্তাদের সরিয়ে দিতে হবে। সাক্ষাৎ সেরে কমিশনের বাইরে ধরনায় বসলে দিল্লি পুলিশ আমাদেরকে জোর করে তুলে দেয়। এটা গণতন্ত্রের হত্যা ছাড়া কিছু নয়। ডেরেকের আরও অভিযোগ, পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা আমাদের রাস্তায় ঘোরানো হয়। এরপর নিয়ে আসা হয় মন্দিরমার্গ থানায়। দোলা সেনের পায়ে লাগায় আঘাত বেশ গুরুতর বলে জানান তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের তরফে বলা হয়, কমিশনের কাছে তাদের দাবি ছিল ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপােইগুড়িতে দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য কমিশনের অনুমতি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন দুর্গতদের সাহায্যের অনুমতি দিচ্ছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct