নিজস্ব প্রতিবেদক, ইন্দাস, আপনজন: সম্প্রতি বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের রোল গ্রামের এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ভীতিময় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সাবা নামে জনৈক সাইকেল মেরামতির মিস্ত্রি,যার কাঠাবৃত্তি জমি জায়গা নেই, তার স্ত্রী একজন আশা কর্মী,এক ছেলে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। কোন রকমে সংসার চলে। বর্তমানে সে একটা ভাঙ্গা ঘরে বাস করে। ধার দেনা করে তার বয়স্ক বাবার হোমস্টেড ল্যান্ড (মৌজা-রোল,দাা নং-৮৪৪,পরিমান ৩ শতক) এর উপর একটি গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করে।হঠাৎ করে ৪ এপ্রিল সকালে নয় দশ জন দুষ্কৃতীরা আচমকাই বাড়িতে ঢুকে বড়ো হাতুড়ি,লোহার রড, শাবল,টাকনা ইত্যাদি দিয়ে প্রথমেই রাজমিস্ত্রিদের উপর আক্রমণ চালায়।তাদের ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে নির্মাণ কাজের সরঞ্জাম নষ্ট করে দেয়।পরেই নির্মীয়মাণ ইটের দেওয়াল ভাঙ্গতে থাকে ,ঐ সময়ে দুষ্কৃতী গুণ্ডাবাজ ফজলুর রহমান মন্ডল, তৌসিন মণ্ডল, আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল, আজিবুর মন্ডল,অহিদুল মণ্ডল, আব্দুল কাজী মণ্ডল,ইউনাস মন্ডল, জিল্লুর রহমান মন্ডল, রেজুয়ান মন্ডল ও আবসার মণ্ডল প্রমুখদের সাবা,তার দাদা সালাম ও ছোট ভাই আলি হামজা ভাঙচুর করা নিষেধ করলে ওদের বেধড়ক মারধর করতে থাকে এবং বলতে থাকে পুলিশ তাদের বলেছে।পাশের প্রতিবেশী নারী পুরুষরা ছুটে এসে গুণ্ডাবাজদের হাত থেকে বাঁচায়। ঘরের মহিলাদের সাথেও অশ্লীল আচরণ করে মারধর করে বলে জানা যায়। সাবা,সালাম ও তাদের বৃদ্ধ পিতার নিকট থেকে জানা যায় যে,ঐ সব দুষ্কৃতীগণ ৮৪৪ দাগের পূর্ব পাশের রোল মৌজার ১৩৭১ দাগের অংশীদার রোকেয়া খাতুনের অংশ কিনেছে, যা ইতিপূর্বে রোকেয়ার স্বামী ইদ্রিশ মণ্ডল সেখ রহমতকে তার সম্পূর্ণ অংশ বিক্রি করে দিয়ছে।বর্তমানে সেখ রহমত দখলে আছে। শুধুমাত্র ঐ জায়গার অংশ দুষ্কৃতীদের রেকর্ডে থাকলেও ৪০বছর পার হলেও দখলে নাই। কিন্তু রেকর্ড থাকায় রোল মৌজার দাগ নং-১৩৭১,১৮৩০সের উপর একটা এম পি কেস করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct