আপনজন ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ইরানের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি জাহরা এরশাদি ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট নিন্দা করার জন্য বিশ্ব সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল দয়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে আঞ্চলিক সংঘাতের বিস্তার ঘটাতে চাইছে। ইসরায়েল নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব অস্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার প্রতি সে অবজ্ঞা দেখায়। জাহরা এরশাদি আরো বলেন, সোমবার ইসরায়েল কন্সুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে যে অপরাধ করেছে তা কূটনৈতিক নীতি এবং কনস্যুলার দায় মুক্তি নীতির চরম লঙ্ঘন। পাশাপাশি ১৯৬১ সালের কূটনৈতিক সম্পর্কের কনভেনশন, কনস্যুলার সম্পর্কের ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা কনভেনশন এবং ১৯৭৩ সালের অপরাধের প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনকেও স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছে। এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মস্কো বলেছে, ইসরায়েলের পদক্ষেপ চলমান আঞ্চলিক সংঘাতকে আরো উসকে দেবে। ফলে অবিলম্বে এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের “প্রকাশ্য লঙ্ঘনের” নিন্দা জানিয়ে, জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, রাশিয়া মনে করে যে, ইসরায়েলের এই ধরনের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ সংঘাতকে আরো উস্কে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এগুলো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইসরায়েলের হামলা জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং সিরিয়া ও ইরান দুই দেশেরই সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলেও নিন্দা করেছেন। ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে গতকাল বিকেলে রাশিয়ার অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct