আপনজন ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বুধবার জলপাইগুড়ির একটি স্থানীয় দোকানে চা তৈরি করে পরিবেশন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্কুলের বাচ্চাদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। এমনকী অন্যান্যবারের মতো এবারেও চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে যোগ দিয়ে চা পাতা তোলেন। এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছে, ‘Smt.@MamataOfficial! উষ্ণতা নিয়ে আসে এবং চায়ের দোকানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও গরম চা তৈরি করে জলপাইগুড়ির বাসিন্দাদের উদ্দীপনা সৃষ্টি করেন।’তৃণমূলের পোস্ট করে, ‘Smt.@MamataOfficial! জলপাইগুড়ির উজ্জ্বল তরুণদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছে। তাদের সরলতা এবং কৌতূহল আরও ভাল ভবিষ্যতের জন্য আমাদের আশাবাদকে প্রজ্বলিত করে।’ পোস্ট করে আরও বলা হয়, ‘Smt.@MamataOfficial! সম্পর্ক দৃঢ় করেন, চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে চা পাতা কাটার কালজয়ী রীতিতে যোগ দেন।’ এর আগে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে নাচের তালে তালে ড্রাম বাজান তিনি। এদিন কেন্দ্রকে ‘জুমলা’ সরকার বলে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রয়োজনের সময়, বিশেষ করে বিপর্যয়ের সময় তারা কখনও মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। জলপাইগুড়ির মার্সি ফেলোশিপ চার্চে মমতা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমি এটা বলব না, কিন্তু এটা একটা জুমলা সরকার। গতকালও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক হয়েছে। এখানে নিরপেক্ষতা কোথায়? নিরপেক্ষ নির্বাচন মানে গণতন্ত্রে সবাইকে ন্যায়বিচার পেতে হবে। আমরা কোনো ধরনের ত্রাণ দিয়ে পক্ষপাতিত্ব করি না। আমাদের সরকার মানবিক। প্রধানমন্ত্রী কীভাবে তাঁর কর্মীদের গিয়ে টাকা দিতে বললেন? আমি আমার দলের কর্মীদের এই ধরনের কিছু করতে বলিনি। বিজেপি কখনও প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি।’
পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৪২ জন প্রার্থীর জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির সাথে কোনও জোট হয়নি। অন্যদিকে, এদিন ঝড়ে দুর্গতদের ত্রাণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবার নেই। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ত্রাণের অভাব হবে না। জানা গেছে, বুধবার সকালে জেলাশাসক শামা পারভিন ও পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপতকে সঙ্গে নিয়ে ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিস গ্রামে যান। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ত্রাণ দিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ময়নাগুড়ির থানায় আইসি। পরিস্থিতি ঘোরালো হওয়ার আগে তা সামাল দেন পুলিশ সুপার। এ দিন বার্নিস কালীবাড়ি এলাকায় জেলাশাসক শামা পারভিন ও পুলিশ সুপার ত্রাণ নিয়ে পৌঁছালে সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের অভিযোগ, এই ক’দিন খাবার আসেনি, এলাকায় কেউ আসেনি। প্রথম দিন ত্রিপল আর শুকনো খাবার দেওয়া হলেও পরে কোনও খাবার আসেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দিন প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার ত্রাণ নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct