সারিউল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: সাইকেলে করে স্কুলে যাওয়ার সময় সিমেন্ট ভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুল পড়ুয়ার। অপর এক পড়ুয়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার সকালের এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা জিয়াগঞ্জ-লালগোলা রাজ্য সড়কের উপর ভগবানগোলা থানার দীঘা রামচন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। দীর্ঘক্ষণ রাজ্য সড়ক অবরোধের পর ভগবানগোলার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ডঃ উত্তম গড়াই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেন। তিনি বলেন,‘নিহত স্কুল পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ট্রাকের চালক ও ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।’স্থানীয় সূত্রে খবর, ভগবানগোলা থানার মাইলবাসা এলাকার দুই স্কুল পড়ুয়া মোমিন শেখ(১১) ও শামিম আখতার সোমবার সকালে সাইকেলে চেপে স্কুলে যাচ্ছিলো। তারা কালুখালি সারফিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্র।
মামাতো ভাই শামিম আখতার সাইকেল চালাচ্ছিল, সাইকেলে মোমিন শেখ বসেছিল। স্কুল পৌঁছানোর আগেই দিঘা রামচন্দ্রপুর ঝিলের উপর রাস্তার বাঁকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেলের পিছনে ধাক্কা মারে। দু’জনেই সাইকেল থেকে রাস্তার উপর ছিঁটকে পড়ে। লরির পিছনের চাকা মোমিনকে পিষে দেয়। শামিমও গুরুতর জখম হয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা ছুটে এসে দু’জনকে উদ্ধার করে জিয়াগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মোমিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শামিমের শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অবরোধের ফলে জিয়াগঞ্জ-লালগোলা রাজ্য সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ভগবানগোলা থানার পুলিশ ছুটে আসে। পরবর্তীতে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ডঃ উত্তম গড়াই এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেন।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘জেলার অন্যতম ব্যস্ত রাজ্যসড়ক এটি। ২৪ ঘন্টা যানবাহন এবং মানুষ চলাচল করে। অথচ এই রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থা নেই। প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় চলতে হয়।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct