আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার আলিপুরদুয়ারের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।রবিবার জলপাইগুড়ি শহর ও তার আশেপাশের এলাকায় আকস্মিক ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০০ জনেরও বেশি লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার রাতে উত্তরবঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন এবং আহতদের যে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সেখানে গিয়েছিলেন। ঝড়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এদিন ভোরে জলপাইগুড়ি পৌঁছে বসু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন এবং ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দেখতে যান। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয়ের পর দ্রুত ত্রাণ শিবির স্থাপনের জন্য আমি তাঁদের সাধুবাদ জানাই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার জন্য আমি বিধায়ক এবং অন্যান্য নেতাদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই।মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আকস্মিক ঝড়ের কারণে ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা দেখে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কিছু জায়গায় ছড়িয়ে পড়া ঝড়ে অন্তত দেড় হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি আগামীকাল আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রামে আমার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাঠাব, যেখানে ২২০টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রবিবার রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যেহেতু আদর্শ আচরণবিধি রয়েছে, তাই এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে হবে।এক প্রশাসনিক কর্তা জানান, ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়নে কিছুটা সময় লাগবে, তবে জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন দেখে এটি বিশাল বলে মনে হচ্ছে।ময়নাগুড়িতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রাজ্যপাল বলেন, কেন্দ্রীয় বিপর্যয় তহবিল থেকে সব রাজ্যকে টাকা দেওয়া হয়, কিন্তু কীভাবে তা কাজে লাগানো হবে তা নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct