নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: সন্ধ্যায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন দুই পঞ্চায়েত সদস্য। দিনেই ফের ঘর ওয়াপসি করলেন চাঁচল বিধানসভার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য হীরা দাস ও খুশিলাল সিংহ।এই ঘটনা ঘিরে বুধবার দিনভর এমন নাটকীয় দৃশ্যের স্বাক্ষী থাকল চাঁচল বিধানসভার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত।বিজেপিতে যোগদান করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন যোগদানকারীরা। ভুল বুঝিয়ে এবং জোর করে তাঁদেরকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের দাবি তাঁরা স্ব-ইচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করেছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম এর প্রধান সহ বামেদের তিনজন, কংগ্রেসের দুইজন, বিজেপির দুইজন এবং নির্দলের একজন সদস্য হরিশ্চন্দ্রপুর ১(বি) ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মর্জিনা খাতুনের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করে। ২৮ আসন বিশিষ্ট কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পক্ষে ২৪ জন হয়ে যায়।অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে থেকে যায় মাত্র ৪ জন সদস্য। পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে যায় বলে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব।এরপর বুধবার তৃণমূলে যোগদানকারী দুই পঞ্চায়েত সদস্য আবার বিজেপিতে ফিরে আসে। এতে বিরোধী শিবিরে সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়াল ৬ জন।বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য হীরা দাস বলেন, প্রধান সামিমা পারভিনের স্বামী আজহার উদ্দিন তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলের যোগদান সভায় নিয়ে গিয়ে দলীয় পতাকা ধরিয়ে দেয়। অপরদিকে আজহার উদ্দিন বলেন,তারা নিজের ইচ্ছায় যোগদান করেছিল। এখন তারা মিথ্যা কথা বলছে।হরিশ্চন্দ্রপুর ১(বি) ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মর্জিনা খাতুন বলেন,তাদেরকে কোন ভুল বুঝানো হয়নি।ওদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই ওদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল।তবে বিজেপি যে দাবি করছে সেটা ভুল। একজন মাত্র বিজেপিতে ফিরেছে।বাকি একজন তৃণমূলেই আছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct