আপনজন ডেস্ক: ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ফাটাভাব কমাতে সহায়তা করে। এটি গভীর থেকে মসৃণ করে। সয়াবিন তেল চুল আর্দ্র রাখে। এতে আছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন ও তেল যৌগ যা চুল গভীর থেকে কন্ডিশন করতে ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। চুলের আগা ফাটা ও মাথার ত্বকের শুষ্কতা সয়াবিন তেল ব্যবহারের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। সয়াবিন তেলে থাকা উপাদান যা চুলের ফলিকলে গভীর থেকে পুষ্টি যুগিয়ে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। সয়াবিন তেল চুলের কিউটিকেল মসৃণ রাখে। ফলে চুলে কোঁকড়া ও উস্কোখুস্কো-ভাব কমাতে সহায়তা করে। কন্ডিশনার, সেরাম বা হেয়ার ট্রেটমেন্টের সাথে এই তেলের ব্যবহার চুলে মসৃণ ও চকচকেভাব আনে। সয়াবিন তেলের নির্যাস চুলের যত্নে নানান প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়। এই তেল সহজেই মাথার ত্বকে শোষিত হয়। ফলে চুলে একধরনের পিচ্ছিলভাব কাজ করে। সয়াবিন তেলে আছে ভিটামিন ই যা প্রদাহনাশক গুণ সম্পন্ন। এতে মাথার ত্বকের প্রদাহ এবং খুশকি হ্রাস পায়। বেশ সহজেই সয়াবিন তেল ব্যবহার করে চুলের পরিচর্যা করা যায়। এক টেবিল-চামচ সয়াবিন তেল কুসুম গরম করে আলতোভাবে মাথার ত্বক ও চুলে মালিশ করতে হবে। ৩০ থেকে ৬০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতি মাথার ত্বক ও চুল আর্দ্র রাখতে কার্যকর। শ্যাম্পুর আগে চুলে অল্প পরিমাণে সয়াবিন তেল মালিশ করা ‘প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট’হিসেবে কাজ করে। এতে চুলের শুষ্ক ও ভঙ্গুরভাব কমে। মাথার ত্বকে সয়াবিন তেল ব্যবহার করে সারা রাত শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। সপ্তাহে দুয়েকবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করে চুলকে গভীর থেকে কন্ডিশন করে। যদিও অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে সয়াবিন তেল ইতিবাচক কাজ করে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যাদের সয়াবিনে অ্যালার্জি আছে তাদের জন্য এটা ব্যবহার না করাই ভালো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct