নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: হাসপাতালে শৌচাগারের বেহাল দশা। অধিকাংশ শৌচাগারের দরজা ভাঙা। জলের ট্যাপ গুলো ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে না। রোগীদের বেডের তলায় কুকুর ও বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুর্ভোগে রোগী ও পরিজনেরা। এমনই চিত্র ধরা পড়ল হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের এই বেহাল দশা নিরসনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ।ক্ষোভ রোগী ও পরিজনদের। রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ,হাসপাতালে শৌচাগারের অধিকাংশ দরজা ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।দরজা না থাকার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।হাসপাতালে এসে রোগী সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শৌচাগারের বেহাল দশার কথা মেনে নিয়েছে।হাসপাতালের বিএমওএইচ অমল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন,’দরজা ও ট্যাপ গুলো ঠিক করার জন্য কোনো প্লাম্বার পাচ্ছি না।সরকারিভাবে সেইরকম খরচও পায় না।তাই এইভাবে ভেঙে পড়ে রয়েছে।তবে শিঘ্রই দরজাগুলো ঠিক করে দেওয়া হবে।’সাহেনা পারভিন নামে এক শিশু রোগীর মা বলেন’ রবিবার সকালে অসুস্থ ছেলেকে ভর্তি করি।শৌচাগারের পাশেই ছেলের জন্য বেড পায়।তবে শৌচাগারে গিয়ে দেখি অধিকাংশ দরজা ভেঙে পড়ে রয়েছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।ছেলের সেলাইন শেষ হতেই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে আসি।’পারভেজ আলি নামে আরো এক রুগীর আত্মীয় বলেন, হাসপাতালে রুগীর বেডের তলায় কুকুর ও বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে। রুগীর খাওয়াতে ও কাপড়ে মুখ দিয়ে দিচ্ছে। হাসপাতালের ভিতরে যত্রতত্র আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালের ডাক্তার বাবুদের বলেছি। তবে কোনো কর্ণপাত করেনি। জয়নাল আবেদীন নামে আরো এক রুগীর আত্মীয় বলেন’ শনিবার থেকে দাদাকে নিয়ে হাসপাতালে পুরুষ বিভাগে ভর্তি আছি।শৌচাগারের ঠিক সামনে রয়েছে বেড।দাদাকে বারেবারে শৌচকর্ম করাতে হয়।তবে দাদার শৌচকর্ম করার সময় দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পাহারা দিয়ে থাকি,যাতে অন্য কেউ ঢুকে না পড়ে।’এ প্রসঙ্গে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী সুদীপ্ত ভৌমিক বলেন, এরকমটা হওয়ার কথা নয়।আমি অবিলম্বে খোঁজ নিচ্ছি যাতে হাসপাতালে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়।কারণ কিছুদিন আগেই লক্ষাধিক টাকা ওই হাসপাতালে জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct