এম মেহেদী সানি, বনগাঁ, আপনজন: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গার অন্তর্গত নকফুলে বেড়গুম-১ আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় উপস্থিত হয়ে বনগাঁ লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস সাংসদ নির্বাচিত হলে ছয় মাসের মধ্যে গোবরডাঙ্গা হাসপাতাল পুনরায় সম্পূর্ণরূপে চালু করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। অন্যদিকে চাঁদপাড়ায় বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানেও সাংসদ নির্বাচিত হলে ছয় মাসের মধ্যে বৃহৎ অডিটোরিয়াম নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এলাকার মানুষের অভিযোগ গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে জিতলে বিজেপির তরফ থেকেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল গোবরডাঙ্গা হাসপাতাল চালু করা হবে, যদিও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এলাকার মানুষের কথায়, ভোটের আগে সব দলের ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় গোবরডাঙ্গা হাসপাতাল, তবে ভোট আসে ভোট যাই তবুও হাসপাতালের বেহাল দশা কাটে না। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্বজিৎ দাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাগদার বিধায়ক হওয়ার পর অনুভব করেছিলাম বাগদার মানুষের স্বাস্থ্যপরিসেবার ক্ষেত্রে অনেকটা সমস্যা রয়েছে তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তায় কয়েক মাসের মধ্যেই বাগদা হাসপাতালের ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবা চালু করতে পেরেছি। এবার আমি গোবরডাঙ্গাবাসীকে আশ্বস্ত করছি আমি সংসদ নির্বাচিত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে গোবরডাঙ্গা হাসপাতাল সম্পূর্ণরূপে চালু করার ব্যবস্থা করব।’ জানা গিয়েছে গোবরডাঙ্গা পৌরসভার জমিতে জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকা গোবরডাঙ্গা হাসপাতাল বিভিন্ন সমস্যার কারণে স্বাস্থ্য দপ্তরের স্বীকৃতি না মেলায় ৬ দশকেরও বেশি পুরানো ৩০টি শয্যা, অপারেশন থিয়েটার, প্রসূতিদের স্বাভাবিক প্রসব, হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স, এক্স রে, প্যাথোলজি, বিভাগ-সহ নানা পরিষেবা যুক্ত ওই হাসপাতাল ২০১৪ সালে আচমকা জেলা পরিষদের তরফে নোটিস জারি করে বন্ধ হয়ে যায়, আউটডোর বিভাগ চালু থাকলেও কয়েকবছর পর সেও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গোবরডাঙার তৎসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা বঞ্চিত হচ্ছেন ওই হাসপাতালটির পরিষেবা থেকে। এলাকাবাসী চাইছেন, শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, সত্যি সত্যিই দিনরাতের সব পরিষেবা আগের মতোই যত দ্রুত সম্ভব চালু হোক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct